ইউক্রেইন যুদ্ধ অবসানের পথ খুঁজে পেতে আলোচনার পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। তাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এখন এ বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসার কোনো ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমরা এমন কোনো পয়েন্টে নেই যেখান থেকে মনে হতে পারে (ইউক্রেইন যু্দ্ধ অবসানে) আলোচনা একটি ফলপ্রসূ পথের দিকে অগ্রসর হবে।”
তার এই মন্তব্য ইউক্রেইন ও তাদের প্রধান সমর্থক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার আলোচনার সম্ভাবনা যে খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। তারপর পেরিয়ে গেছে নয় মাস। যুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুহারা হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছেন ইউক্রেইনের অনেক নগর ও শহর।
যুক্তরাষ্ট্র সফর করা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেছিলেন, ‘পুতিনের যদি আসলেই ইউক্রেইন যুদ্ধ বন্ধের ইচ্ছা থেকে থাকে’ তবে তিনি তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
বাইডেনের ওই মন্তব্যের পর শুক্রবার ক্রেমলিন থেকে বলা হয়, শান্তি আলোচনা শুরুর আগে তারা ইউক্রেইনের কাছ থেকে যে ‘নতুন অঞ্চলগুলো’ সংযুক্ত করে নিয়েছে পশ্চিমাদের সেগুলোর স্বীকৃতি দিতে হবে। না হলে শান্তি আলোচনা ‘শুরু করা কঠিন’।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের আরো বলেন, ‘‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আমাদের স্বার্থরক্ষা নিশ্চিত করে আলোচনায় বসার জন্য সর্বদা প্রস্তুত ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।”
এদিকে, কিইভ থেকে বলা হয়েছে, যদি রাশিয়া হামলা পুরোপুরি বন্ধ করে এবং ইউক্রেইনের যেসব অঞ্চল তারা দখল করেছে তার সবগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় তবেই কেবল মাত্র শান্তি আলোচনা সম্ভব।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির রাজনৈতিক উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক রয়টার্সকে বলেন, রাশিয়ার আলোচনার প্রস্তাব একটি ‘বিভ্রান্তি’ ছাড়া আর কিছু না।
ইউক্রেইন থেকে রুশসেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার ছাড়া শান্তি আলোচনা শুরু হলে ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দখলদার বাহিনী বর্তমান হারের ধারা থেকে বেরিয়ে আসার এবং পুনরায় সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবে বলে আশঙ্কা ইউক্রেইন ও তাদের মিত্রদের।