শান্তি আলোচনার আগে ‘নতুন অঞ্চলগুলোর’ স্বীকৃতি চায় রাশিয়া

যুক্তরাষেট্রর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত থাকার আভাস দেওয়ার পর রাশিয়া একথা বলেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2022, 02:43 PM
Updated : 2 Dec 2022, 02:43 PM

রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেইনের কাছ থেকে তারা যে ‘নতুন অঞ্চলগুলো’ সংযুক্ত করে নিয়েছে পশ্চিমারা সেগুলোর স্বীকৃতি না দেওয়ায় শান্তি আলোচনা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

যুক্তরাষেট্রর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত থাকার আভাস দেওয়ার পর রাশিয়া একথা বলেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্র সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্টি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেছিলেন, পুতিনের আসলেই ইউক্রেইন যুদ্ধ বন্ধের ইচ্ছা থেকে থাকলে তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত তিনি।

এর প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিন জানায়, তারা আলোচনার দ্বার খোলা রেখেছে। কিন্তু পশ্চিমাদের দাবি মোতাবেক ইউক্রেইন থেকে সরে এসে আলোচনায় বসবে না তারা।

বরং রাশিয়ার স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই বাইডেনের সঙ্গে আলোচনায় বসার দ্বার পুতিন খোলা রেখেছেন বলে জানান ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পারষ্পরিক আলোচনার ভিত্তির পথ খোঁজাকে জটিল করে তুলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। পেসকভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনের কাছ থেকে রাশিয়ার অধিগ্রহণ করে নেওয়া নতুন অঞ্চলগুলোকে স্বীকৃতি দেয়নি।

রাশিয়া গত সেপ্টেম্বরের শেষদিকে অবৈধভাবে ইউক্রেইনের চারটি অঞ্চল নিজেদের ভূখন্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেয়। যদিও সেই অঞ্চলগুলো রুশ বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল না।

ওই চার অঞ্চল ছিল: ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলের লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক এবং দক্ষিণাঞ্চলের জেপোরোজিয়া ও খেরসন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তখন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র কখনোই ইউক্রেইনের অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার এই চেষ্টাকে স্বীকৃতি দেবে না।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এবার বাইডেন শর্তসাপেক্ষে পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত থাকার কথা জানানোর পর রাশিয়া দখলকৃত অঞ্চলগুলোর স্বীকৃতি দাবি করল।

যদিও এরই মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেইনে তাদের দখল করা অঞ্চলগুলোর অর্ধেকের বেশি ভূখন্ডই খুইয়ে ফেলেছে।

পূর্ব ইউক্রেইনে রুশ বাহিনী যখন লুহান্সকের বেশিরভাগ এলাকা দখলে রেখেছিল, তখন দোনেৎস্কে তাদের আগ্রাসন থমকে যায়। ওদিকে, দক্ষিণের খেরসন থেকে রুশ বাহিনী সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। জাপোরিজিয়া থেকেও তারা সরে যাওয়ার পথে আছে।

Also Read: ইউক্রেইনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ায় যুক্ত করার ঘোষণা পুতিনের