রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার সেনাবাহিনী ইউক্রেইনে দীর্ঘ সময় ধরে লড়ে যেতে পারে। তবে এ মুহূর্তে বাড়তি সেনা সমাবেশের প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না তিনি।
এবছর ফেব্রুয়ারিতে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ এর কথা বলে ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। যুদ্ধ এরই মধ্যে ১০ মাসে পড়েছে। এবার তা আরও দীর্ঘায়িত করারই ইঙ্গিত দিলেন পুতিন।
তিনি বলেন, বিশেষ সামরিক অভিযানের সময়ের ব্যাপারে বলতে গেলে, অবশ্যই, এটি হতে পারে একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।”
তবে ইউক্রেইনে আরও সেনাসমাবেশের জন্য পুতিন গত সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে ৩ লাখ রিজার্ভ সেনা ডাকলেও এখনকার এই সময়ে দ্বিতীয় দফায় সেখানে সেনাসমাবেশের ‘কোনও মানে নেই’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
পুতিন জানান, ৩ লাখ রিজার্ভ সেনার মধ্যে মোট ১৫০,০০০ সেনাকে ইউক্রেইনে মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৭ হাজার জন আছে যুদ্ধ ইউনিটে। আর বাকিরা প্রতিরক্ষার কাজে নিয়োজিত আছে।
টিভিতে মানবাধিকার পরিষদের এক বার্ষিক অধিবেশনে কথা বলছিলেন পুতিন। সেখানে তিনি অভিযোগ করে বলেন, “পশ্চিমা অধিকার সংগঠনগুলো রাশিয়াকে আদৌ কোনও অস্তিত্বের অধিকার না থাকা একটি দ্বিতীয় শ্রেনির দেশ হিসাবে দেখে।”
“এই বাস্তবতার সঙ্গে আমাদেরকে যুঝতে হচ্ছে। আমাদের দিক থেকে এর জবাব হতে পারে মাত্র একটাই। আর তা হচ্ছে, আমাদের জাতীয় স্বার্থের জন্য অবিরাম সংগ্রম করে যাওয়া। আমরা কেবল সেটিই করব।”
“হ্যাঁ, আমরা নানা পথে, নানা উপায়ে এটি করব। প্রথমত, অবশ্যই আমরা শান্তিপূর্ণ পন্থার দিকে মনোনিবেশ করব। কিন্তু যদি কোনওকিছু বাকি না থাকে, তাহলে আমরা নিজেদেরকে রক্ষা করতে আমাদের আয়ত্তের মধ্যে থাকা সব পন্থাই ব্যবহার করব”, বলেন পুতিন।