লাল? না নীল? জানা যাবে ৫ নভেম্বরের পর।
Published : 05 Nov 2024, 08:52 AM
ভোটের মানচিত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অঙ্গরাজ্য লাল, কোনোটি আবার নীল। কিন্তু কিছু রাজ্যে আগেভাগে রঙ দিয়ে দেওয়া সহজ নয়।
অর্থাৎ, সেসব রাজ্যকে এক কথায় ডেমোক্রেটিক পার্টি বা রিপাবলিকান পার্টির ঘাঁটি বলে দেওয়া চলে না। সেখানে জিততে পারে যে কেউ। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনি পরিষাভায় এসব রাজ্য পরিচিতি পেয়েছে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ হিসেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় একজন প্রার্থীর পাওয়া ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মাধ্যমে। ভোটে জিতে একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হয়।
এই ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যেই পৃথকভাবে ভোটারদের সরাসরি ভোটে জয় পেতে হয়।
দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও রাজধানী অঞ্চল ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া মিলিয়ে মোট ইলেকটোরাল ভোট ৫৩৮টি। একেক অঙ্গরাজ্যের জন্য বরাদ্দ ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা সেই রাজ্যের জনসংখ্যার ওপর নির্ভর করলেও দেশটির সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি অঙ্গরাজ্য অন্তত তিনটি ইলেকটোরাল ভোটের অধিকারি। এর বাইরে অঙ্গরাজ্যগুলোর জনসংখ্যার অনুপাতে ইলেকটোরাল ভোট নির্ধারিত হয়।
এই হিসাবে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় আছে সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট, ৫৪টি; এরপর টেক্সাসে ৪০টি, ফ্লোরিডায় ৩০টি, নিউ ইয়র্কে ২৮টি। সাধারণ অনুমান বলে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে এই অঙ্গরাজ্যগুলোরই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা থাকবে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দীর্ঘ ঐতিহ্য অনুযায়ী অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা প্রতিটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো একটি দলকেই ধারাবাহিকভাবে বেশি ভোট দিয়ে আসছেন। অর্থাৎ ওই অঙ্গরাজ্যের সব ইলেকটোরাল ভোট নিয়মিতভাবে একটি দলের প্রার্থীই পেয়ে আসছেন। এভাবে এসব রাজ্য হয় রিপাবলিকান অথবা ডেমোক্র্যাট পার্টির ভোট ব্যাংক হিসেবে ভূমিকা রেখে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ ধরনের অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে যেগুলো ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীকে বরাবর সমর্থন জানিয়ে আসছে, সেগুলো ‘নীল’ অঙ্গরাজ্য বলে পরিচিতি পেয়েছে, আর রিপাবলিকান পার্টিকে সমর্থন জানিয়ে আসা অঙ্গরাজ্যগুলো ‘লাল’। যেমন, সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট থাকা ক্যালিফোর্নিয়া নীল অঙ্গরাজ্য, অর্থাৎ এখানে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জয়ী হবে এমনটি ধরে নেওয়া যায়। আবার ইলেকটোরাল ভোট সংখ্যায় এর পরে থাকা টেক্সাস লাল অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত, অর্থাৎ এখানের সবগুলো ইলেকটোরাল ভোট রিপাবলিকান প্রার্থীর পক্ষেই যায়।
রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে নামা মাত্রই ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত অঙ্গরাজ্যগুলোর ইলেকটোরাল ভোট তারা পাচ্ছেন বলে নিশ্চিতভাবে ধরে নেওয়া হয়। যেমন, এবারের ২০২৪ এর ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস ২২৬টি ইলেকটোরাল ভোট আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প ২১৯টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে যাচ্ছেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করছে সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
সিএনএনের হিসাব অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে হোয়াইট হাউজে যেতে হলে হ্যারিসকে আরও অন্তত ৪৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে, এর বিপরীতে জয় নিশ্চিত করতে হলে ট্রাম্পকে পেতে হবে আরও ৫১টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।
এই ইলেকটোরাল কলেজ ভোটগুলো প্রার্থীদের ভোটব্যাংকের বাইরের অঙ্গরাজ্যগুলো থেকে আসে। এসব অঙ্গরাজ্যর কোনটির সমর্থন কোন প্রার্থীর পক্ষে যাবে তা জরিপ বা অন্য কোনোভাবেই আগাম বলে দেওয়া যায় না।
এসব রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের নজির রয়েছে। আবার এসব রাজ্য একবার ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীর পক্ষে যায় তো আরেকবার যায় রিপাবলিকান প্রার্থীর পক্ষে। তাই সাধারণভাবে এসব রাজ্যকে সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যও বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকটোরাল ভোট নির্ভর নির্বাচনী পদ্ধতির কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় অঙ্গরাজ্যগুলোর তুলনায় এসব অঙ্গরাজ্য বেশি প্রভাব রাখে।
২০২৪ এর দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাতটি অঙ্গরাজ্যকে দোদুল্যমান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে, পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, মিশিগান, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন ও নেভাডা।
এসব দোদুল্যামান অঙ্গরাজ্যের মোট ইলেকটোরাল ভোট ৯৩টি। এরমধ্যে পেনসিলভানিয়ার ভোট ১৯টি, জর্জিয়ার ও নর্থ ক্যারোলাইনার ১৬, মিশিগানের ১৫, অ্যারিজোনার ১১, উইসকনসিনের ১০ ও নেভাডার ৬টি।
এই দোদ্যুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপরই নির্ভর করছে কে হবেন জো বাইডেনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডন্ট। ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস? নাকি রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প?
সাত অঙ্গরাজ্য কার কী অবস্থা?
নিজ নিজ পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিত অঙ্গরাজ্যগুলো নিয়ে প্রার্থীদের খুব বেশি মাথা ঘামাতে হয় না। তাদের সব উদ্বেগ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোকে নিয়ে। প্রার্থীরা এসব অঙ্গরাজ্যেই নির্বাচনি প্রচারে বেশি সময় ও অর্থ ব্যয় করেন।
নেভাডা: ২৯ অক্টোবর প্রকাশিত সিএনএন/এসএসআরএসের জরিপ অনুযায়ী এই অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প ৪৮ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছেন। আর হ্যারিসের পক্ষে আছে ৪৭ শতাংশ (বিচ্যুতির অনুমোদিত মাত্রা ৪ দশমিক ৬ শতাংশ) ।
সিইএসের জরিপ অনুযায়ী (৯৩৩ জন সাড়া দিয়েছেন) হ্যারিস ৫১ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছেন; আর ট্রাম্পের পক্ষে আছে ৪৭ শতাংশ।
২৩ অক্টোবর প্রকাশিত ব্লুমবার্গের জরিপ অনুযায়ী হ্যারিসের পক্ষে আছে ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ট্রাম্পের পক্ষে আছে ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ জনসমর্থন।
ফাইভথার্টিএইটের জরিপে গড় অনুযায়ী হ্যারিস শূন্য দশমিক ১ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। অর্থাৎ এখানে দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
অ্যারিজোনা: ২০৬৬ জনকে নিয়ে করা সিইএসের জরিপ অনুযায়ী এ অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের পক্ষে আছে ৫১ শতাংশ আর হ্যারিসের পক্ষে ৪৭ শতাংশ জনসমর্থন।
সিএনএন/এসএসআরএসের জরিপ অনুযায়ী হ্যারিসের পক্ষে ৪৮ শতাংশ আর ট্রাম্পের পক্ষে ৪৭ শতাংশ (বিচ্যুতির অনুমোদিত মাত্রা ৪ দশমিক ৪) ।
২৪ অক্টোবর প্রকাশিত ম্যারিস্টের জরিপ অনুযায়ী ৫০ শতাংশ সমর্থন নিয়ে ট্রাম্প এগিয়ে আছেন আর হ্যারিসের পক্ষে আছে ৪৯ শতাংশ সমর্থন।
ওয়াশিংটন পোস্ট-সার স্কুলের জরিপ অনুযায়ী ট্রাম্প ৪৯ শতাংশ সমর্থন নিয়ে ৪৬ শতাংশ সমর্থন পাওয়া হ্যারিস থেকে এগিয়ে আছেন (বিচ্যুতির অনুমোদিত মাত্রা ৫) ।
ফাইভথার্টিএইটের জরিপে গড় অনুযায়ী এখানে ট্রাম্প ২ দশমিক ২ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন।
জরিপের সামগ্রিক ধারা অনুযায়ী এই রাজ্যের জনমত কিছুটা ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকে আছে।
মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী এই অঙ্গরাজ্য এখন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন বিতর্কের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সীমান্ত পার হয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের রেকর্ড হারের কারণে এ নির্বাচনে ইস্যুটি ভোটারদের ভাবনার শীর্ষে আছে।
অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প বারবার হ্যারিসকে আক্রমণ করেছেন। কারণ সীমান্ত সংকট নিরসনের চেষ্টা করার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন দায়িত্ব দিয়েছিলেন হ্যারিসকে।
তবে ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন অ্যারিজোনার সমর্থন পেয়েছিলেন।
মিশিগান: ২৩৩৬ জনকে নিয়ে করা সিইএসের জরিপ অনুযায়ী এ অঙ্গরাজ্যে হ্যারিসের পক্ষে আছে ৫১ শতাংশ জনসমর্থন আর ট্রাম্পের পক্ষে ৪৬ শতাংশ।
সিএনএন/এসএসআরএসের জরিপ অনুযায়ী ৪৮ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে হ্যারিস এগিয়ে আছেন আর ট্রাম্পের পক্ষে আছে ৪৩ শতাংশ।
২৯ অক্টোবর এমারসন জরিপে ট্রাম্পের পক্ষে আছে ৪৯ শতাংশ আর হ্যারিসের পক্ষে ৪৮ শতাংশ (বিচ্যুতির অনুমোদিত মাত্রা ৩ পয়েন্ট) ।
ফাইভথার্টিএইটের জরিপে গড় অনুযায়ী এখানে হ্যারিস শূন্য দশমিক ৭ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি আরব-আমেরিকান বসবাস করেন মিশিগানে। এই অঙ্গরাজ্য ২০২০ সালে বাইডেনকে সমর্থন দিলেও গাজা যুদ্ধে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় তারা ডেমোক্র্যাটদের ওপর ক্ষুব্ধ।
কিন্তু হ্যারিস ইসরায়েলের বিষয়ে কঠোরভাবে কথা বলায় কিছু গাজা বিষয়ক বিক্ষোভকারী বিবিসিকে বলেছেন, তিনি তাদের ইস্যুর প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল হবেন বলে আশা করছেন তারা।
জর্জিয়া: ম্যারিস্টের জরিপ অনুযায়ী ট্রাম্প ও হ্যারিস উভয়েই ৪৯ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে টাই অবস্থায় আছেন (বিচ্যুতির অনুমোদিত মাত্রা ৩ দশমিক ৯) ।
সিইএসের জরিপে ৫১ শতাংশ সমর্থন নিয়ে ট্রাম্প এগিয়ে আছেন আর হ্যারিসের পক্ষে আছে ৪৬ শতাংশ।
ব্লুমবার্গের জরিপ অনুযায়ী ট্রাম্পের পক্ষে আছে ৪৯ দশমিক ৯ আর হ্যারিসের পক্ষে আছে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ জনসমর্থন (বিচ্যুতির অনুমোদিত মাত্রা ৩) ।
আর ওয়াশিংটন পোস্ট-সারের জরিপ (বিচ্যুতির অনুমোদিত মাত্রা ৪ দশমিক ৫) অনুযায়ী হ্যারিস ৫১ শতাংশ সমর্থন নিয়ে ৪৭ শতাংশ সমর্থন পাওয়া ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন।
ফাইভথার্টিএইটের জরিপে গড় অনুযায়ী এখানে ট্রাম্প ১ দশমিক ৮ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন।
নথর্ ক্যারোলাইনা: এ অঙ্গরাজ্যে সিইএসের জরিপে ৫০ শতাংশ সমর্থন নিয়ে ট্রাম্প ৪৮ শতাংশ সমর্থন পাওয়া হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে আছেন।
ম্যারিস্ট ও এমারসন কলেজের জরিপ অনুযায়ীও ট্রাম্প ৫০ শতাংশ সমর্থন নিয়ে ৪৮ শতাংশ সমর্থন পাওয়া হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে আছেন।
ফাইভথার্টিএইটের জরিপে গড় দেখাচ্ছে এখানে ট্রাম্প ১ দশমিক ১ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন।
উইসকনসিন: এ অঙ্গরাজ্যে সিইএসের জরিপে ৫০ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে হ্যারিসের ৪৭ শতাংশ জনসমর্থন পাওয়া ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন।
সিএনএন/এসএসআরএসের জরিপে হ্যারিস ৫১ ও ট্রাম্পের পক্ষে ৪৫ শতাংশ জনসমর্থন দেখা গেছে।
এমারসন কলেজের জরিপ অনুযায়ীও ট্রাম্প ৮৯ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে ৪৮ শতাংশ জনসমর্থন পাওয়া হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে আছেন (বিচ্যুতির অনুমোদিত মাত্রা ৩ দশমিক ৪) ।
কুইনিপিয়াকের জরিপে ৪৮ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে টাই অবস্থায় আছেন (বিচ্যুতির অনুমোদিত মাত্রা ২ দশমিক ৯) ।
ফাইভথার্টিএইটের জরিপে গড় দেখাচ্ছে এখানে হ্যারিস শূন্য দশমিক ৩ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন।
পেনসিলভানিয়া: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমর্থন নিয়ে করা কোঅপারেটিভ ইলেকশন স্টাডির জরিপে এ অঙ্গরাজ্যে হ্যারিস ৪৯ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে ৪৮ শতাংশ সমর্থন পাওয়া ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য এগিয়ে রয়েছেন।
সিএনএন/এসএসআরএসের জরিপে হ্যারিস ও ট্রাম্পের উভয়েই ৪৮ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে টাই অবস্থায় আছেন।
এমারসন কলেজের করা জরিপে ট্রাম্প (৪৯ শতাংশ) এক শতাংশ ব্যবধানে হ্যারিসের (৪৮ শতাংশ) চেয়ে এগিয়ে ছিলেন (বিচ্যুতির অনুমোদিত মাত্রা ৩ দশমিক ৪) ।
আর ব্লুমবার্গ জরিপে হ্যারিস ৫০ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ সমর্থন পাওয়া ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন (বিচ্যুতির অনুমোদিত মাত্রা ৩) ।
এ অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প হ্যারিসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন বলে জানাচ্ছে ফাইভথার্টিএইটের জরিপে গড়।