কিয়েভের জন্যে নতুন করে ১২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠাবে বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
Published : 24 Aug 2024, 06:45 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেইনের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলে নতুন সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিন শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনও ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষমন্ত্রী রুস্তম উমারভের সঙ্গে কথা বলেন।
সামাজিক মাধ্যমে অস্টিন বলেন, কিয়েভের জন্য নতুন করে ১২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার ইউক্রেইনের স্বাধীনতা দিবস। এর আগের দিন শুক্রবার সামরিক সহায়তার এই ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই দিনই বাইডেন ও অস্টিন টেলিফোন কলগুলো করেন।
জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে বাইডেন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেইনের প্রতি ওয়াশিংটনের এই সমর্থন ‘দ্বিধাহীন’ বলে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউজ।
হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন-প্রতিরোধী সরঞ্জাম, বর্মবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র এবং গোলাবারুদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বাইডেনের সঙ্গে কথা বলার পর এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, “ঘোষিত প্যাকেজের অস্ত্রগুলোর সরবরাহ ইউক্রেইনের খুব দরকার, বিশেষ করে নগর, সমাজ ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর নির্ভরযোগ্য সুরক্ষার জন্য নির্দিষ্টভাবে অতিরিক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিশেষ জরুরী।”
২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নেওয়ার পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেইনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে এবং আগ্রাসনের কারণে মস্কোর বিরুদ্ধে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
২০২২ সাল থেকে ইউক্রেইনকে এ পর্যন্ত ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সহায়তা দিয়েছে ওয়াশিংটন।