দামেস্কে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৫

দামেস্কের কাফর সুসা আবাসিক এলাকায় হামলার এ ঘটনা ঘটেছে; কাছেই বড়, কড়া পাহারার একটি নিরাপত্তা কমপ্লেক্স আছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2023, 03:55 AM
Updated : 19 Feb 2023, 03:55 AM

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কেন্দ্রীয় এলাকার একটি ভবনে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

রোববারের প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দামেস্কের কাফর সুসা আবাসিক এলাকায় হামলার এ ঘটনা ঘটে। এর কাছেই ইরানি স্থাপনাগুলোর পাশে বড়, কড়া পাহারার একটি নিরাপত্তা কমপ্লেক্স আছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দামেস্কের কেন্দ্রস্থলে উমাইয়াদ স্কয়ারের পাশেই ঘনবসতিপূর্ণ কাফর সুসা আবাসিক এলাকা। এই আবাসিক এলাকার ভেতরেই কয়েকটি বহুতল নিরাপত্তা ভবন আছে। এখানে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে চালানো বিরল এই হামলায় কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এক পুলিশ কর্মকর্তা সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসএএনএ-কে জানিয়েছেন, সেখানে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র এ হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সামরিক সূত্রগুলো উদ্ধৃত করে এসএএনএ বলেছে, মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পর দামেস্কের বেশ কয়েকটি এলাকা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল, এতে পাঁচ বেসামরিক নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এক বিবৃতিতে সিরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, “হামলায় দামেস্ক ও এর কাছাকাছি কয়েকটি আবাসিক এলাকার বেশ কয়েকটি বেসামরিক বাড়ি ও সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

রয়টার্স বলছে, কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়েছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।

কাফর সুসা এলাকায় একটি ইরানি সংস্কৃতি কেন্দ্রসহ দেশটির বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার দপ্তর আছে। পুলিশের কড়া পাহারায় থাকা এই এলাকাটিতে ২০০৮ সালে এক বোমা হামলায় ইরানপন্থি লেবাননি রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ইমাদ মুঘনিয়াহ নিহত হয়েছিলেন।

ইসরায়েল প্রায় একদশক ধরে প্রতিবেশী সিরিয়ায় ইরানি পৃষ্ঠপোষকতায় পাঠানো অস্ত্রের চালান ও মোতায়েন করা কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। এ পর্যন্ত ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এ ধরনের হামলার দায়িত্ব খুব কমই স্বীকার করেছেন।

পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, ইরান সম্প্রতি সিরিয়ায় তাদের সামরিক উপস্থিতি বিস্তৃত করেছে এবং দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত অধিকাংশ এলাকায় ঘাঁটি করেছে। এসব ঘাঁটিতে তাদের কমান্ডের অধীনে হাজার হাজার মিলিশিয়া সদস্য ও স্থানীয় আধাসামরিক দল আছে।