ইনকা সভ্যতার ভূমিতে খোলা আকাশের নিচে তিতিকাকার নীল জলরাশি পর্যটকদের বেশ টানে।
Published : 12 Feb 2024, 11:41 AM
তিতিকাকা আসলে হ্রদ, যদিও বিশালাকারের জন্য সাগরই বলা হয়। শীতকালীন নজিরবিহীন এক তাপদাহে খুব দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে এই হ্রদ। দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম এবং পৃথিবীর উচ্চতম নাব্য এই হ্রদের পানির স্তর নিচে নামছে দ্রুতগতিতে। এর প্রভাব পড়ছে পর্যটন, মৎস্য ও কৃষি ব্যবস্থার উপর, যার নির্ভর করেই জীবিকা নির্বাহ করে ওই অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা।
ইনকা সভ্যতার ভূমিতে খোলা আকাশের নিচে তিতিকাকার নীল জলরাশি পর্যটকদের বেশ টানে। পেরু আর বলিভিয়ার সীমান্ত ঘেঁষা ৩ হাজার ২০০ মাইল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এ হৃদ। এই হ্রদ ঘিরেই স্থানীয় আয়মারা, কেচুয়া ও উরোস আদিবাসী গোষ্ঠীর বাস।
তিতিকাকা পৃথিবীর উচ্চতম হ্রদ, কারণ এর অবস্থান সাড়ে ১২ হাজার ফুট উপরে মধ্য আন্দিজ পর্বতমালায়। সর্বোচ্চ উচ্চতায় জাহাজ চলাচলযোগ্য হ্রদ এটি। আর অনেক বেশি উঁচুতে হওয়ার কারণে সৌর বিকিরণও বেশি হয় সেখানে, ফলে অতিরিক্ত বাষ্পীভবনে পানি কমে যায় এই হ্রদের।
তিতিকাকা ঘিরে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষের বাস। হ্রদের মাছ, খামার আর পর্যটন সেখানকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনীতি চাঙা করে। কিন্তু হ্রদের পানি মারাত্মকভাবে কমতে থাকায় অর্থনীতির এই ‘জাদুর কাঠি’গুলোই এখন হারানোর ঝুঁকিতে। ১৯৯২-২০২০ সাল পর্যন্ত স্যাটেলাইট চিত্র পরীক্ষা করে দেখা গেছে, প্রতি বছর এই হ্রদ ১২০ মিলিয়ন মেট্রিক পানি হারাচ্ছে। এর প্রাথমিক কারণ বৃষ্টিপাত না হওয়া এবং বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তন। সংবাদ সূত্র: সিএনএন
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)