ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ গেল ৮ অভিবাসন প্রত্যাশীর

ইরিত্রিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইরানসহ বেশ কয়েকটি দেশের লোকজন এটি রবারের ডিঙিতে চড়ে চ্যানেলটি পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

ফ্রান্সের আমব্লিতুঁজ সৈকতে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল দল। ছবি: রয়টার্স

ফ্রান্স থেকে রাতের আঁধারে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে আট অভিবাসন প্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছেন, রোববার জানিয়েছে ফরাসি পুলিশ।

ফ্রান্সের পা-দা-ক্যালে অঞ্চলের প্রিফেক্ট জ্যাক বিয়ঁ জানান, স্থানীয় সময় শনিবার রাত একটার পরে উদ্ধারকারী ক্রুরা সতর্ক করেন যে প্রায় ৫৯ জন আরোহী নিয়ে একটি নৌকা অঞ্চলটির আমব্লিতুঁজ উপকূলে সমস্যায় পড়েছে।

বিবিসি জানায়, ওই রবারের ডিঙির আরোহীদের মধ্যে ইরিত্রিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইরানসহ বেশ কয়েকটি দেশের লোকজন ছিলেন।

ফ্রান্সের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, সমস্যায় পড়ার পর ঢেউয়ের তোড়ে ডিঙিটি পাথরের ওপর গিয়ে আছড়ে পড়ে আর টুকরো টুকরো হয়ে যায়। জরুরি পরিষেবার কর্মীরা ৫৩ জন আরোহীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেন আর বাকি আটজন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেন।

আরোহীদের মধ্যে এক শিশুসহ ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটি হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।

কোস্টগার্ড জানিয়েছে, সাগরে তল্লাশি চালিয়ে এদের বাইরে আর কাউকে পাওয়া যায়নি।

ফ্রান্সের বুলোনে-সিও-মেয়ার পিপির দপ্তর এ ঘটনার বিষয়ে একটি তদন্ত শুরু করেছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে প্রিফেক্ট জ্যাক বিয়ঁ জানান, উদ্ধার পাওয়া অন্যান্যরা এখন উদ্ধারকারী বাহিনী ও মেডিকেল ক্রুদের সেবা পাচ্ছেন।

যারা মারা গেছেন তারা ইরিত্রিয়া, সিরিয়া, মিশর, ইরান ও আফগানিস্তানের নাগরিক বলে জানিয়েছেন তিনি।

ইংলিশ চ্যানেল বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত জাহাজ চলাচল পথ। এই চ্যানেলে স্রোতের তীব্র অনেক বেশি। ফলে ছোট ছোট নৌকা নিয়ে এই চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা অত্যন্ত বিপজ্জনক।

ফরাসি মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে শনিবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইংলিশ চ্যানেল থেকে অন্তত ২০০ জনকে উদ্ধার করেছে তারা।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ নিহত আটজনসহ এ বছর চ্যানেলটিতে মোট ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে যা ২০২১ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ।

বিবিসি জানায়, এ বছর ২৩ হাজারের বেশি মানুষ চ্যানেলটি পাড়ি দিয়েছে।