স্যোশাল মিডিয়ায় স্থানীয় অধিবাসীরা এক পোস্টে বলেছে, সামরিক বাহিনীর জঙ্গি বিমান পার্বত্য এলাকার প্রত্যন্ত একটি গ্রামে অন্তত দুটো বোমা ফেলেছে।
Published : 17 Nov 2023, 06:32 PM
মিয়ানমারের চিন রাজ্যে একটি স্কুলে সামরিক জঙ্গি বিমান হামলায় ৮ শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রামবাসীরা।
স্থানীয়রা বলেছে, পার্বত্য এলাকার প্রত্যন্ত ভুইলু গ্রামে বুধবার এ হামলা হয়। স্যোশাল মিডিয়ায় অধিবাসীদের এক পোস্টে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর জঙ্গি বিমান সন্ধ্যায় গ্রামটিতে অন্তত দুটো বোমা ফেলেছে।
এতে একটি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। বাড়িটি অস্থায়ী একটি স্কুল হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছিল। বোমা হামলায় সেখানে পড়ুয়া ৮ জন শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক তিনজন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সী এক শিক্ষক তার মা এবং দুই সন্তানও আছে।
নিহত শিশুদের বয়স ৭ থেকে ১১ বছরের মধ্যে। বোমায় গ্রামের আরও কয়েকটি বাড়ি এবং দুটো গির্জাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মিয়ানমার সম্প্রতি গৃহযুদ্ধের করাল গ্রাসে নিপতিত হয়েছে। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই জান্তা সরকার কঠিন সময় পার করছে।
জান্তাবিরোধী বিভিন্ন বিদ্রোহী ও সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠী মিয়ানমারের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর–পশ্চিশাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলর শত শত জান্তা ঘাঁটিতে অহরহ হামলা চালাচ্ছে। জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের একটি ঘাঁটি হচ্ছে চিন রাজ্য।
এ সপ্তাহে মাঠ পর্যায়ের বিদ্রোহী তৎপরতায় জাতিগত চিন যোদ্ধারা ভারত সীমান্তের রিখাওয়াদার শহর পুনরায় দখল করে নিয়েছে। তবে ভুইলু গ্রামে কোনও বিদ্রোহী নেই বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। গ্রামটি চিন রাজ্যের দক্ষিণ অবস্থিত এবং সেখানে ৮০ টিরও কম বসতবাড়ি আছে।
মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় এই চিন রাজ্যে প্রায়ই বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘাত হতে দেখা গেছে। তবে স্থানীয়রা বলছে, ভুইলু গ্রামের কাছে কোনও লড়াই হয়নি। গ্রামটিকে হামলার নিশানা কেন করা হল তা তারা বুঝতে পারছে না।
২০২১ সালে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর প্রথমেই যারা জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল, তার মধ্যে আছে এই চিন রাজ্যের জাতিগত সম্প্রদায়। সামরিক গাড়িবহরে চোরাগেপ্তা হামলার জন্য তারা ঘরে তৈরি অস্ত্র নিয়েই লড়াইয়ে নেমেছে।