ইরানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অবস্থান ধর্মঘট

নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর হুঁশিয়ারি এবং রক্তাক্ত দমনাভিযান উপেক্ষা করে তারা এ ধর্মঘট পালন করে। এতে প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়ছে।

রয়টার্স
Published : 1 Nov 2022, 06:46 PM
Updated : 1 Nov 2022, 06:46 PM

ইরানে ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর থেকে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের সমর্থনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবস্থান ধর্মঘট করেছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর হুঁশিয়ারি এবং রক্তাক্ত দমনাভিযান উপেক্ষা করে মঙ্গলবার তারা এ ধর্মঘট পালন করে।

সাত সপ্তাহ আগে ইরানে ঠিকমত হিজাব না পরায় আটক মাশা আমিনি নামের এক তরুণীর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পর থেকেই সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভে জড়িত থাকার জন্য প্রায় এক হাজার মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিচার শুরু হবে চলতি সপ্তাহেই।

ইরানের মানবাধিকার বিষয়ক এইচআরএএনএ বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, তেহরান ও ইস্ফাহানসহ বেশ কয়েকটি শহরে অবস্থান ধর্মঘট চলছে। অনেকেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির মৃত্যুর ডাক দিয়েছে।

ইরানে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনির বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ-ধর্মঘট সবচেয়ে সাহসিকতাপূর্ণ এক চ্যালেঞ্জ। বিক্ষোভ দিন দিনই জোরাল হচ্ছে।

এতে ইরানের শাসকদের ওপর চাপ বাড়ছে, যারা দেশের এই অস্থির পরিস্থিতির জন্য বিদেশি শত্রু ও তাদের চরদের দোষারোপ করে এসেছে।

ডেমোক্র্যাসি ফর দ্য আরব ওয়াল্ড নাউ (ডিএডব্লিউএন) এর ইরান বিষয়ক বিশ্লেষক ওমিদ মেমারিয়ান বলেন, “মানুষ তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নামছে। কিন্তু শাসকদেরকে পরাজিত করতে পারবে – এমন আশা নিয়েই তারা ভয়কে জয় করেছে।”

বিক্ষোভে নেমেছে সর্বস্তরের মানুষ। এর মধ্যে শিক্ষার্থী এবং নারীরাই সোচ্চার হয়েছে বেশি। তারা হিজাব খুলে, পুড়িয়ে বিক্ষোভ করছে।

বার্তা সংস্থা এইচআরএএনএ বলছে, গত সোমবার পর্যন্ত চলমান বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ২৮৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ জন শিশু।

বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর ৩৬ সদস্যও নিহত হয়েছে। তাছাড়া, ১৪ হাজার ১৬০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ জনই শিক্ষার্থী।