থামছে সিঙ্গাপুরের ঘোড়দৌড়ের ১৮০ বছরের ইতিহাস

স্কটিশ ব্যবসায়ী উইলিয়াম হেনরি ম্যাকলিয়ড রিড এবং আরো কয়েকজন অনুরাগী মিলে ১৮৪২ সালে গড়ে তোলেন সিঙ্গাপুর স্পোর্টিং ক্লাব। মূলত সে সময় থেকেই সিঙ্গাপুরে ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতার শুরু। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2023, 07:41 AM
Updated : 6 June 2023, 07:41 AM

সিঙ্গাপুরে ঘোড়দৌড়ের ইতিহাস ১৮০ বছরের পুরনো; সেই দৌড় এবার থেমে যাচ্ছে।

বিবিসি জানিয়েছে, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ছোট এই দ্বীপদেশটিতে ঘোড়দৌড়ের একমাত্র মাঠ সিঙ্গাপুর টার্ফ ক্লাবে আগামী বছর শেষবারের মত বসবে ঘোড়দৌড়ের আসর। 

এরপরই ১২০ হেক্টর আয়তনের মাঠটি চলে যাবে দেশটির সরকারের জিম্মায়। তবে মাঠটি কী কাজে ব্যবহার করা হবে, তা জানা যায়নি।     

সিঙ্গাপুর টার্ফ ক্লাব সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “সিঙ্গাপুরে ঘোড়দৌড়ের দীর্ঘ এবং বিশেষ ইতিহাস রয়েছে।

“২০২৪ সালের ৫ অক্টোবর গ্র্যান্ড সিঙ্গাপুর গোল্ড কাপের শততম আসর পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতায় ক্রীড়াসূলভ আচরণ, নিরাপত্তা এবং অখণ্ডতা নিশ্চিত করবে ক্লাব।”

ঘোড়দৌড়ের ভক্ত ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নামে একটি প্রতিযোগিতা হয়ে আসছে এই মাঠে। ১৯৭২ সালে সেই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রানি নিজেই উপস্থিত ছিলেন। এরপর ২০০৬ সালে দ্বিতীয়বারের মত এ মাঠে এসেছিলেন রানি।

স্কটিশ ব্যবসায়ী উইলিয়াম হেনরি ম্যাকলিয়ড রিড এবং আরো কয়েকজন অনুরাগী মিলে ১৮৪২ সালে গড়ে তোলেন সিঙ্গাপুর স্পোর্টিং ক্লাব। মূলত সেই সময় থেকেই সিঙ্গাপুরে ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতার শুরু। 

সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রে অবস্থিত ফেরার পার্কের কর্দমাক্ত একটি অংশকে রেকসকোর্সে রূপ দেন তারা। এর ৮২ বছর পর ১৯২৪ সালে মাঠটির নাম পরিবর্তন করে সিঙ্গাপুর টার্ফ ক্লাব রাখা হয়।

সিঙ্গাপুরের এই ঘোড়া দৌড় শুধু ইউরোপীয়দের কাছে নয়, মালয় ও চীনাদের কাছেও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। 

আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তার কারণেই ১৯৩৩ সালে রেসকোর্সটি সিঙ্গাপুরের পশ্চিমে বুকিত তিমাহ এলাকার আরো বড় পরিসয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়।

সিঙ্গাপুর টার্ফ ক্লাব বর্তমানে দ্বীপের উত্তরে ক্রানজিতে অবস্থিত। এখানে ক্লাবটি স্থানান্তর হয় ২০০০ সালের মার্চে।

৫০ কোটি সিঙ্গাপুরি ডলারে গড়ে তোলা এই রেসকোর্সে রয়েছে ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার পাঁচতলা গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড। তবে গত এক দশক ধরে এ মাঠে দর্শক উপস্থিতি কমছে।

সিঙ্গাপুর সরকার বলছে, ভবিষ্যতে ভূমির প্রয়োজন হতে পারে, সেভাবেই এই জায়গাটির উন্নয়ন করা হবে।

“নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের ভূমি সীমিত। বর্তমান চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পর্যাপ্ত ভূমি নিশ্চিতে সরকার নিয়মিতভাবেই ভূমি পরিকল্পনা পর্যালোচনা করে,” বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।