পলাতক দেবপ্রকাশ মধুকরের বিষয়ে তথ্য দিয়ে তাকে গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করলে এক লাখ রুপি পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিল পুলিশ।
Published : 06 Jul 2024, 10:19 PM
ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে হুড়োহুড়ির মধ্যে পদদলনের ঘটনায় ১২১ জন নিহত হওয়ার পর ওই প্রার্থনা সভার প্রধান সংগঠক আত্মসমর্পণ করেছেন।
শুক্রবার দিল্লি থেকে তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে কথিত ধর্মীয় গুরু ভোলে বাবার আইনজীবী এ. পি. সিং জানিয়েছেন। তাকে নিয়ে এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মঙ্গলবারের ওই শোচনীয় ঘটনার পর পুলিশের করা মামলায় প্রার্থনা সভার প্রধান উদ্যোক্তা দেবপ্রকাশ মধুকরকে ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তারপর থেকে তাকেসহ মামলায় নাম আসা অন্যদের খুঁজছিল পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক হত্যার চেষ্টাসহ অন্যান্য অভিযোগ আনা হয়েছে, জানিয়েছে রযটার্স।
পলাতক দেবপ্রকাশের বিষয়ে তথ্য দিয়ে তাকে গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করতে পারলে এক লাখ রুপি পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছিল পুলিশ।
হাথরসের জেলা প্রশাসন ফুলরাই গ্রামে ‘সৎসঙ্গ’ (প্রার্থনাসভা) নামে ওই হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ৮০ হাজার মানুষ জমায়েতের অনুমতি দিয়েছিল, কিন্তু সেখানে হাজির হয়েছিল প্রায় আড়াই লাখ।
দেবপ্রকাশই ওই প্রার্থনা সভার প্রধান আয়োজক বলে আইনজীবী সিংও জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “দিল্লি থেকে সে আত্মসমপর্ণ করেছে। আমরা আগাম জামিন চাই নাই।”
ওই অনুষ্ঠানের আয়োজকরা কোনো দোষ করেননি বলে দাবি করেছেন সিং। তিনি জানান, পদদলনের ঘটনায় দেবপ্রকাশও আহত হয়েছেন এবং একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্ব-ঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা শনিবার এক ভিডিও বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শোচনীয় ওই ঘটনায় তিনি কষ্ট পেয়েছেন এবং তিনি দুঃখিত, তার সহযোগীরা আহতদের ও নিহতদের পরিবারগুলোকে সাহায্য করবে।
বার্তা সংস্থা এনএনআইকে তিনি বলেছেন, “আমার বিশ্বাস, এই বিশৃঙ্খলা যারা সৃষ্টি করেছিল তারা কেউ ছাড়া পাবে না।”
আরও পড়ুন: