এই বন্যায় সোমালিয়ার দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশ কেনিয়ার উত্তরাঞ্চলের শহর ও গ্রামগুলোও ডুবে গেছে।
Published : 11 Nov 2023, 02:06 PM
পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া ব্যাপক খরার পর নজিরবিহীন বন্যার কবলে পড়েছে। দেশটিতে ইতোমধ্যেই অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং তিন লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
অক্টোবরের প্রথমদিক থেকে শুরু হওয়া ভারি বৃষ্টির পথ ধরে দেশটি বন্যাকবলিত হয়। এই বন্যায় সোমালিয়ার দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশ কেনিয়ার উত্তরাঞ্চলের শহর ও গ্রামগুলোও ডুবে গেছে।
জাতিসংঘ এই বন্যাকে এক শতাব্দীর মধ্যে একবার হওয়া ঘটনা বলে বর্ণনা করেছে, জানিয়েছে রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বিত দপ্তর (ওসিএইচএ) বলেছে, সোমালিয়ায় প্রায় ১৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ঋতুজনিত এই ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে, যা জলবায়ু ঘটনা এল নিনো ও ভারত মহাসাগরীয় দ্বিমেরু প্যাটার্নের কারণে আরও তীব্র হয়েছে।
সোমালিয়ায় চার দশক ধরে চলা ব্যাপক খরা ও জঙ্গি গোষ্ঠী আল শাবাবের হামলায় উদ্বাস্তু হওয়া লোকজনের আশ্রয় শিবিরগুলোও বন্যাকবলিত হয়েছে, ফলে তাদের দ্বিতীয়বারের মতো আশ্রয়স্থল ছেড়ে সরতে হয়েছে বলে ত্রাণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে।
ওসিএইচএ বলেছে, ব্যাপক মাত্রার বাস্তুচ্যুতি, আরও সম্পদ ধ্বংস ও মানুষের অভাব আরও প্রকট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হবে প্রায় ৩৭ লাখ একর জমির সম্ভাব্য ফসলহানি।
জাতিসংঘের মানবিক ও জরুরি ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয় ও সহকারী উপমহাসচিব মার্টিন গ্রিফিথ বলেছেন, “চলমান এল নিনোর সঙ্গে সম্পর্কিত চরম আবহাওয়া সোমালিয়ার ইতোমধ্যে দুর্বল হয়ে পড়া সমাজগুলোকে আরও অভাব দিকে ঠেলে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। ঝুঁকিগুলো কী আমরা জানি আর এসব আসন্ন সংকট পেরিয়ে যেতে হবে আমাদের “