ইউক্রেইনের পাইলটদের এফ-১৬ জঙ্গিবিমান চালানোর প্রশিক্ষণ পরিকল্পনায় সমর্থন বাইডেনের

সবচেয়ে দ্রুতগতিতেও যদি এই প্রশিক্ষণ শেষ করতে হয় এবং ইউক্রেইনকে জঙ্গিবিমান সরবরাহ করতে হয়, তাও ন্যূনতম দেড় বছর লাগবে, বলেছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2023, 11:49 AM
Updated : 20 May 2023, 11:49 AM

ইউক্রেইনের পাইলটদের এফ-১৬ জঙ্গিবিমান চালানো শেখাতে মিত্ররা যে যৌথ প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা করছে ওয়াশিংটনের তাতে সমর্থন আছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

শুক্রবার জাপানে জি৭ নেতাদেরকে তিনি এ কথা জানান বলে একাধিক ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

রাশিয়ার বিপক্ষে আকাশপথে নিজেদের শক্তি জোরদার করতে চাওয়া ইউক্রেইনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এই সমর্থন বেশ বড় পাওয়া হবে, বলছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের বানানো এই এফ-১৬ জঙ্গিবিমান চালানোর প্রশিক্ষণ ইউরোপে হবে, যা শেষ হতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে।

মার্কিন এক কর্মকর্তারা বলেছেন, সবচেয়ে দ্রুতগতিতেও যদি এই প্রশিক্ষণ শেষ করতে হয় এবং ইউক্রেইনকে জঙ্গিবিমান সরবরাহ করতে হয়, তাও ন্যূনতম দেড় বছর লাগবে।

“আসছে মাসগুলোতে প্রশিক্ষণ শুরু হলে এই উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত দেশগুলোর জোট ঠিক করবে কখন ইউক্রেইনকে জঙ্গিবিমান দেওয়া হবে, কতগুলো দেওয়া হবে, কারা দেবে,” বলেছেন তিনি।

কোন কোন দেশ ইউক্রেইনকে জঙ্গিবিমান দিতে পারে, মার্কিন কর্মকর্তা তা না বললেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সম্প্রতি বলেছেন, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও ডেনমার্ককে সঙ্গে নিয়ে তারা ‘ইউক্রেইন যেন আকাশে তার চাহিদা অনুযায়ী সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, সেজন্য কাজ করছে’।

ডেনমার্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইউক্রেইনের পাইলটদের প্রশিক্ষণে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে।

চতুর্থ প্রজন্মের জঙ্গিবিমান এফ-১৬ চালনায় ইউক্রেইনের পাইলটদের প্রশিক্ষণ আসছে সপ্তাহগুলোতেই শুরু করা সম্ভব হবে বলে ওয়াশিংটন প্রত্যাশাও করছে, বলেছেন ওই কর্মকর্তা।

ইউক্রেইন অনেকদিন ধরেই লকহিড মার্টিনের বানানো এই জঙ্গিবিমান চেয়ে আসছিল। তারা এতদিন ধরে যেসব সোভিয়েত আমলের বিমান ব্যবহার করছিল, তার চেয়ে এফ-১৬ অনেক বেশি কার্যকর হবে বলেও তাদের আশা।

রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেইনের বেশিরভাগ বিমানই ধ্বংস হয়ে গেছে। সম্প্রতি পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়া কিইভকে ২৭টি মিগ-২৯ দিয়েছে।

ইউক্রেইনকে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের বেশিরভাগ দিয়ে নিজেদের অরক্ষিত করে ফেলার বিপদ নিয়েও ভাবছে পশ্চিমা দেশগুলো; তাদের দেওয়া অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কিইভ রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে বসে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ আছে তাদের।

তেমনটা হলে মস্কো পশ্চিমা দেশগুলো ওপর হামলা চালানোর অজুহাত পেতে পারে, এমন আশঙ্কাও অনেকের।

ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে কিইভের জন্য ‘জঙ্গিবিমান জোট’ গড়ে তোলায় সহায়তার আশ্বাস পেয়েছেন। তবে লন্ডন বা আমস্টারডাম কেউই সরাসরি বলেনি যে তারা ইউক্রেইনকে জঙ্গিবিমান দেবে।

শুক্রবার দেওয়া বাইডেনের সমর্থনকে জেলেনস্কি স্বাগত জানিয়েছেন।

“এটা আকাশে আমাদের সেনাদের সক্ষমতা অনেকগুণ বাড়িয়ে দেবে। হিরোশিমার জি৭ সম্মেলনে (প্রশিক্ষণের) পরিকল্পনাটি কীভাবে কার্যকর করা যায়, তা নিয়ে আলোচনার দিকে তাকিয়ে আছি আমি,” টুইটারে বলেছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট।