অগ্নিকাণ্ডের পর কোভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জোরদার হচ্ছে চীনে

বিক্ষোভগুলোতে এখন সরকারের কড়া সমালোচনার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পদত্যাগের দাবিও শোনা যাচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2022, 06:33 AM
Updated : 27 Nov 2022, 06:33 AM

উরুমশির একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জনের প্রাণহানির পর চীনে কোভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জোরদার হচ্ছে বলে ধারণা মিলেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদেশি সাংবাদিকদের পোস্ট করা ভিডিওতে সাংহাইয়ে কয়েক হাজার মানুষকে রাস্তায় নেমে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণ এবং কোভিড বিধিনিষিধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।

ভিডিওতে শত শত বিক্ষোভকারীর মুখে প্রেসিডেন্ট শি জিএনপিংয়ের পদত্যাগের দাবিও শোনা গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

চীনের অনেকেই অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে অগ্নিকাণ্ডের জন্য আবাসিক ভবনে লকডাউন দেওয়াকে দায়ী করছেন।

কর্তৃপক্ষ এই দায় অস্বীকার করলেও শুক্রবার রাতে উরুমশির স্থানীয় প্রশাসন দুঃখ প্রকাশ করে দেওয়া বিবৃতিতে কেউ দায়িত্বে গাফিলতি করলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

রোববার সকালের দিকে সাংহাইয়ের বিক্ষোভস্থল শান্ত দেখালেও বিবিসির প্রতিবেদক সেখানে পুলিশ সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করেছেন। রাস্তায় কয়েক ডজন পুলিশ কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও সাদা পোশাকের পুলিশ দেখা গেছে।

অনলাইনে আসা একাধিক ছবি ও ভিডিওতে শনিবার রাতে চীনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কোভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের কথা জানা গেছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বড় জমায়েত দেখা গেছে নানজিং কমিউনিকেশনস ইউনিভার্সিটিতে।

বিবিসি লিখেছে, চীনে সরকার ও এর নেতাদের কড়া সমালোচনা করে করা বিক্ষোভের এসব ভিডিওর সত্যতা যাচাই খুবই কঠিন।

তবে চীনে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির ‘শূন্য কোভিড' নীতির বিরুদ্ধে অনেক কর্মসূচি হয়েছে, সেসব কর্মসূচিতে প্রেসিডেন্ট শি ও সরকারের বিরুদ্ধে মানুষজন তাদের ক্ষোভও প্রকাশ করেছে।

বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে চীনের এই ‘শুন্য কোভিড’ নীতিই সবচেয়ে কঠোর। টিকাদান তুলনামূলক কম হওয়ায় এবং বয়স্ক লোকদের সুরক্ষিত রাখার চেষ্টাও তাদের এই নীতি নেওয়ার অন্যতম কারণ।

এই নীতিতে প্রাদুর্ভাব শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ হুটহাট যেসব লকডাউন দিচ্ছে তা নিয়ে দেশজুড়ে অনেকের মধ্যেই অসন্তোষ দেখা গেছে। কোভিড বিধিনিষেধের বিস্তৃতিতে সম্প্রতি ঝেংঝু থেকে গুয়াংজু পর্যন্ত অনেক সহিংস বিক্ষোভেরও দেখা মিলেছে।

এত এত কঠোর বিধিনিষেধের পরও চলতি সপ্তাহে চীনে মহামারী শুরুর পর সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।