চীনা মহাকাশ স্টেশন নির্মাণের শেষ পর্যায়ে গেলেন ৩ নভোচারী

আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলোর তৈরি ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)’ থেকে বাদ পড়ার পর তিয়ানগং স্টেশন নির্মাণ শুরু করেছিল চীন।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2022, 08:10 AM
Updated : 30 Nov 2022, 08:10 AM

তিয়ানগং স্পেস স্টেশনের হাল ধরতে মহাকাশে পৌঁছেছেন তিন চীনা নভোচারী। মানব জীবনধারণের উপযোগী দ্বিতীয় স্পেস স্টেশনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে সম্প্রতি।

তিন নভোচারী নিয়ে চীনের শেংঝোউ-১৫ মিশন সদ্য নির্মিত তিয়ানগং স্টেশনে পৌঁছেছে ২৯ নভেম্বর। জুন মাস থেকে স্পেস স্টেশনটির নির্মাণকাজ সামাল দেওয়া তিন সহকর্মীর কাছ থেকে নতুন স্পেস স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেবেন তারা; তিয়াংগংয়ের দেখভাল করবেন আগামী ছয় মাস।

বিবিসি জানিয়েছে, আগের তিন নভোচারীর কাছ থেকে তিয়ানগংয়ের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেওয়ার প্রক্রিয়াটি সহজ হবে না, সময় লাগবে অন্তত এক সপ্তাহ। এই সময়ে একসঙ্গে ছয় নভোচারীর জীবনধারণে স্টেশনটির সক্ষমতা যাচাই করবে চীন। 

চীন গোবি মরুভূমিতে অবস্থিত জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে শেংঝোউ-১৫ উৎক্ষেপণ করেছে মঙ্গলবার। মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৫৭ বছর বয়সী নভোচারী ফেই জুনলং; তিনি শেষবার মহাকাশে গিয়েছিলেন ২০০৫ সালে। 

তিয়ানগং নির্মাণের জন্য মহাকাশে মোট ১১টি মিশন পাঠিয়েছে চীন; শেংঝোউ-১৫ নির্মাণ প্রকল্পের শেষ মিশন বলে জানিয়েছে বিবিসি। আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণে নির্মিত ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)’ থেকে বাদ পড়ার পর তিয়ানগং স্টেশন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছিল চীন। 

নতুন স্টেশনটিকে অন্তত এক দশক চালু রাখতে চায় চীন। নতুন নভোচারীদের হাতে স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করে বিদায়ী নভোচারীরা পৃথিবীতে ফিরবেন ডিসেম্বর মাসে।

‘চায়না ম্যানড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নতুন স্পেস স্টেশনে নতুন যন্ত্রাংশ বসানোর ওপর গুরুত্ব দেবেন শেংঝোউ-১৫ নভোচারীরা। এ বছরের মধ্যে স্টেশনটির শতভাগ কার্যক্ষমতা নিশ্চিত করতে চায় চীন। এর আগে মঙ্গল ও চাঁদে রোভার পাঠিয়েছে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। 

মহাকাশ স্টেশন নির্মাণে চীনের সাফল্যের প্রশংসা করে ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনটিকাল ফেডারেশন’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ক্রিস্টিয়ান ফাইকটিঙ্গার চীনের রাষ্ট্রায়ত্ব সংবাদমাধ্যম সিসিটিভিকে বলেছেন, চীনের ক্রমবর্ধমান মহাকাশ সক্ষমতার ওপর ‘পুরো বিশ্ব নজর রাখছে’ বলে মনে করেন তিনি। 

তিয়ানগংয়ের জীবদ্দশার এক দশকে প্রতি বছর দুবার করে নতুন নভোচারীদের মহাকাশ স্টেশনটিতে পাঠানোর পরিকল্পনা করে রেখেছে চীন। 

ইতোমধ্যেই ভবিষ্যৎ নভোচারীদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এতে অংশ নিতে পারবেন ম্যাকাও ও হংকংয়ের বাসিন্দারাও। আগে চীনের নভোচারী নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না ওই ‘বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের’ বাসিন্দারা।