মাস্কের মালিকানায় টুইটারের মডারেশন ব্যবস্থা ব্যপক হারে কমে এসেছে। সমালোচকরা বলছেন, এর ফলে গুজব ছড়ানোর মাত্রাও বেড়ে গেছে।
Published : 28 May 2023, 07:42 PM
ভুল তথ্য মোকাবেলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঐচ্ছিক আচরণবিধি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সামাজিক প্ল্যাটফর্ম টুইটার।
টুইটারে সংবাদটি প্রকাশ করেন ইইউ’র অভ্যন্তরীণ মার্কেট কমিশনার থিয়েরি ব্রেটন। পাশাপাশি, কোম্পানিটিকে ‘কমপ্লায়েন্স’ সংক্রান্ত আইন মেনে চলার বিষয়ে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন তিনি।
Twitter leaves EU voluntary Code of Practice against disinformation.
— Thierry Breton (@ThierryBreton) May 26, 2023
But obligations remain. You can run but you can’t hide.
Beyond voluntary commitments, fighting disinformation will be legal obligation under #DSA as of August 25.
Our teams will be ready for enforcement.
“এখনও দায়বদ্ধতা রয়ে গেছে। আপনারা এড়াতে পারেন, তবে লুকিয়ে থাকতে পারবেন না।” --বলেন ব্রেটন।
তিনি বলেন, ২৫ অগাস্ট থেকে ইউরোপে গুজবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আইনি বাধ্যবাধকরার মুখে পড়বে টুইটার।
“আমাদের লোকজন আইন প্রয়োগে প্রস্তুত থাকবে।”
এই আচরণবিধি নিয়ে নিজের অবস্থান এখনও নিশ্চিত করেনি টুইটার। আর এই বিষয় বিবিসি কোম্পানির মন্তব্য জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক জবাব মেলেনি।
ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিক কোম্পানি মেটার পাশাপাশি টিকটক, গুগল, মাইক্রোসফট ও টুইচ’সহ বেশ কয়েকটি আকারে বড় ও ছোট কোম্পানি ইইউ’র ‘ডিসইনফর্মেশন কোড’-এর পক্ষে যোগ দিয়েছেন।
এই আচরণবিধি উন্মোচিত হয় গত বছরের জুনে। এর লক্ষ্য হলো বিভিন্ন গুজব ও ভুয়া সংবাদ থেকে আর্থিক লাভের উপায় রোধ করার পাশাপাশি প্ল্যাটফর্মের স্বচ্ছতা বাড়িয়ে বিভিন্ন বট ও নকল অ্যাকাউন্টের বিস্তৃতি কমিয়ে আনা।
কোডে স্বাক্ষর করা কোম্পানিগুলো ঐচ্ছিকভাবে বিভিন্ন অঙ্গীকার বাছাইয়ের সুযোগও পেয়েছে। বিভিন্ন তথ্য যাচাইয়ে সহায়তা বা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নজরদারির মতো বিষয়গুলো এর আওতায় রয়েছে।
মাস্কের মালিকানায় টুইটারের মডারেশন ব্যবস্থা ব্যপক হারে কমে এসেছে। সমালোচকরা বলছেন, এর ফলে গুজব ছড়ানোর মাত্রাও বেড়ে গেছে।
এক সময় টুইটারে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা ঠেকানোর লক্ষ্যে নিবেদিত একটি দল থাকলেও বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ও প্ল্যাটফর্মটির সাবেক কর্মীরা বলছেন, এই দলের বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই পদত্যাগ করেছেন বা ছাঁটাইয়ের মুখে পড়েছেন।
গত মাসে বিবিসি অনুসন্ধান চালিয়ে খুঁজে পায়, রাশিয়া ও চীনের রাষ্ট্রীয় প্রচারণা চালানো বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ‘সয়লাব হয়েছে’ টুইটার।
তবে, টুইটারের মালিক ইলন মাস্কে দাবি, গত অক্টোবরে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ‘তুলনামূলক কম’ ভুল তথ্য রয়েছে প্ল্যাটফর্মটিতে।
এই ঐচ্ছিক আচরণবিধির পাশাপাশি ‘ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট’ নামেও একটি আইন চালু করেছে ইইউ, যা বিভিন্ন কোম্পানিকে অনলাইনের অবৈধ কনটেন্ট ঠেকানোর প্রশ্নে চাপে রেখেছে।
২৫ অগাস্ট থেকে ইইউ’র মধ্যে টুইটার’সহ সাড়ে চার কোটির বেশি মাসিক ব্যবহারকারী থাকা প্ল্যাটফর্মগুলোকে আইনগতভাবে ডিএসএ’র নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
এর মানে, নতুন আইনের অধীনে টুইটারকে ব্যবহারকারীর ‘অবৈধ কনটেন্ট’ ফ্ল্যাগ করার উপায় রাখার পাশাপাশি নোটিফিকেশন নিয়ে ‘দ্রুত উপায়ে’ কাজ করার ও গুজবের বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখতে হবে।