বিনানুমতিতে ‘পর্নোগ্রাফিক’ ডিপফেইক অপরাধ হবে যুক্তরাজ্যে

অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীরা এখন আরও বেশি ক্ষমতা পাবেন বলে দাবি করেছে দেশটির সরকার।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2022, 12:22 PM
Updated : 27 Nov 2022, 12:22 PM

অনুমতি ছাড়া কারও ‘পর্নোগ্রাফিক’ ডিপফেইক অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করার দিকে এগুচ্ছে যুক্তরাজ্য। এর আওতায় আসছে অনুমতি ছাড়া কারো ‘ডাউনব্লাউজ’ ছবি শেয়ার করার বিষয়টিও।

পর্নোগ্রাফিক ডিপফেইক বলতে ছবি বা ভিডিওতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ‘যৌনতাপূর্ণ’ উপস্থাপন এবং ডাউনব্লাউজ বলতে কোনো নারীর বুক আংশিক উন্মুক্ত অবস্থা বোঝায়।

নতুন আইন বলছে, এ ধরনের ছবি শেয়ার করার বেলায় ছবিতে উপস্থাপিত ব্যক্তির অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক হবে।

অনলাইন সুরক্ষা আইন সংশোধন করে এ ধরনের অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীরা এখন আরও বেশি ক্ষমতা পাবেন বলে দাবি করেছে দেশটির সরকার।

নতুন প্রস্তাবনার অধীনে, অনুমতি ছাড়া পর্নোগ্রাফিক ডিপফেইক শেয়ার করলে কারাদণ্ড হতে পারে। গোপন ক্যামেরা’সহ কারও অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা বা রেকর্ড করে, এমন যন্ত্র স্থাপন ঠেকাতেও নতুন আইনটি ব্যবহার করতে চায় দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে যুক্তরাজ্যের বিচার সচিব ডমিনিক রাব বলেছেন, যারা নারী ও মেয়েদের নিপীড়ন করে বা ভয় দেখায়, তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ দেবে এই সংশোধিত আইন।

“আমাদের বার্তা খুবই পরিষ্কার। আমরা চাই মেয়ে ও নারীরা যেন এই আইনে পুরো আত্মবিশ্বাস পান। আর যারা নিপীড়ন, হয়রানি ও ভয় দেখায়, তাদের ওপর এই আইনের পুরোদস্তর প্রয়োগ দেখাতে চাই আমরা।”

নারী ও শিশুদের নিপীড়ন থেকে রক্ষা

“নারী ও মেয়েদের সুরক্ষায় অবশ্যই আমাদের আরও কাজ করতে হবে। বিশেষ করে এমন লোকদের কাছ থেকে, যারা শিকার বা মানহানীর উদ্দেশ্যে ঘনিষ্ঠ ছবি তোলে বা বিকৃত করে।” --এক বিবৃতিতে বলেন রাব।

দেশটির সংস্কৃতি সচিব মিশেল ডনেলান যোগ করেন, “আইনে সাম্প্রতিক এইসব সংযোজনের মাধ্যমে এই অপরাধ থেকে বিভিন্ন আক্রান্ত নারী ও শিশুর চিরতরে সুরক্ষার প্রশ্নে আরও সামনে এগোবে আমাদের আইন।”

পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতি ১৪ জনে একজন এই ধরনের ছবি শেয়ারের হুমকির মুখে পড়েছেন।

স্কাই নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে, দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সম্মতি ছাড়া ব্যক্তিগত গোপন ছবি প্রকাশের অভিযোগ এসেছে ২৮ হাজারের বেশি।