যুক্তরাজ্যে রেল যাত্রীদের জন্য এমন ভার্চুয়াল রিয়ালিটি অভিজ্ঞতা বানানো হয়েছে, যা যৌন হয়রানির মতো অপরাধ শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
ভিআর টুল দেশটির রেল খাত ও ট্রান্সপোর্ট পুলিশের এক যৌথ প্রকল্পের অংশ, যা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তৈরি। বৃহস্পতিবার থেকে দেশটির এডিনবরা ওয়েভার্লি স্টেশনে এ ভিআর টুল বিক্রি শুরু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
নতুন ভিআর টুলটি এমনভাবে নকশা করা যাতে এর মাধ্যমে রেলওয়ে যাত্রীরা যৌন নিপীড়ন শনাক্ত করার পাশাপাশি সেটি মোকাবেলা করার সক্ষমতা পান। পাশাপাশি, ব্যবহারকারীকে আসন বদলানোর প্রস্তাব বা অপরাধীকে প্রশ্নের জাল দিয়ে বিভ্রান্ত করার মতো ছোট ছোট পদক্ষেপ কীভাবে বড় পার্থক্য করে দিতে পারে, তার নমুনাও দেখানো হবে এতে।
ব্রিটিশ কোম্পানি ‘রেল ডেলিভারি গ্রুপ’-এর গবেষণায় উঠে এসেছে, সরকারি পরিবহন ব্যবস্থায় যৌন নিপীড়নের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে ৮৫ শতাংশ নারীই তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন।
এডিনবরার নাগরিকদের নিজ নিজ স্থানীয় স্টেশনে এসে ভিআর অভিজ্ঞতাটি পরীক্ষা করে দেখার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
“একটি শিল্প হিসেবে আমরা সব ধরনের যৌন হয়রানি ঠেকাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। আর যাত্রীরা ট্রেনে যেন নিরাপদ অনুভব করেন, তা নিশ্চিত করতেও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আমরা।” --বলেন রেল ডেলিভারি গ্রুপের সিইও জ্যাকলিন স্টার।
“গোটা দেশের বিভিন্ন স্টেশনে এই যুগান্তকারী ভিআর অভিজ্ঞতা দেখানোর মাধ্যমে জনগণকে নিরাপদভাবে এমন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার উপায় জানিয়ে দিচ্ছি আমরা।”
“এমন কিছু দেখলে বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখে পড়লে আমরা ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশকে অভিযোগ জানানোর বা ‘রেলওয়ে গার্ডিয়ান’ অ্যাপ ব্যবহারের আহ্বান জানাচ্ছি।”
“যুক্তরাজ্যের রেলপথে সকল ব্যবহারকারীর নিরাপদ থাকার ও এমন আচরণ নিয়ে দ্বিধাহীনভাবে অভিযোগ জানানোর অধিকার আছে।”
রেল কোম্পানি ‘স্কটরেল’-এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জোয়ান ম্যাকগুয়ের বলেন, “সকলেরই হয়রানী বা নিপীড়নের ভীতি ছাড়া শান্তিপূর্ণ দিন কাটানোর অধিকার আছে।”
অন্যদিকে, ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, “দুঃখজনক হলেও সত্য যে এমন অনেক যৌন নিপীড়নের ঘটনাই অন্যান্য যাত্রীর সামনে ঘটে।”