‘অমানবিক’ ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে সাবেক টুইটার কর্মীরা

ইলন মাস্ক অবশিষ্ট টুইটার কর্মীদের সশরীরে অফিসে উপস্থিত থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়ায় ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন প্রতিবন্ধী কর্মীরা।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Dec 2022, 10:51 AM
Updated : 9 Dec 2022, 10:51 AM

টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সাবেক চার কর্মী; মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটি ইলন মাস্কের অধীনে যাওয়ার পর চাকরি হারিয়েছেন তারা।

কর্মী ছাঁটাইয়ের সময় মাস্কের টুইটার নারী কর্মীদের `টার্গেট’ করেছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন কোম্পানির সাবেক এই কর্মীরা।

স্যান ফ্রান্সিসকোর আদালত ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সদ্য চাকরি খোয়ানো টুইটার প্রকৌশলী ইমানুয়েল কর্নেট অভিযোগ করেন, “কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত এমনভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে যা ছিল অগোছালো, অমানবিক এবং সম্ভবত বেআইনি।”

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট জানিয়েছে, টুইটারের বিরুদ্ধে দেশের কেন্দ্রীয় ও ক্যালিফোর্নিয়ার স্থানীয় শ্রমআইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন কর্নেট ও চাকরি খোয়ানো অন্য কর্মীরা।

মাস্ক টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক জটিলতার মুখে পড়ছে এ সোশাল মিডিয়া কোম্পানি। শুরুতেই খরচ কমানোর অজুহাতে কোম্পানির সাড়ে সাত হাজার কর্মীর অর্ধেক ছাঁটাই করেন মাস্ক।

আদালতে সাবেক টুইটার কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব করছেন আইনজীবী শ্যানন লিজ-রিওর্ডান। চার বাদীর পক্ষে চারটি আলাদা মামলা করলেও ক্লাস অ্যাকশন মামলার স্বীকৃতি চাইছেন তিনি। পাশাপাশি টুইটারের সাবেক চুক্তিভিত্তিক কর্মীদেরও এই আইনি প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে চান ওই আইনজীবী।

প্রথম পর্যায়ের কর্মী ছাঁটাই শেষে বাকিদের সশরীরে অফিসে উপস্থিত থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মাস্ক। এতে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি করেছেন টুইটারের প্রতিবন্ধী কর্মীরা।

টুইটার নিয়ে ইলন মাস্কের খামখেয়ালি আচরণ সম্পর্কে লিজ-রিওর্ডানের বক্তব্য: “বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের কাছে এ কোম্পানি কেনা ছেলেখেলার মত মনে হলেও, এখানে মানুষের জীবনধারনের প্রশ্ন জড়িয়ে আছে।”

বুধবারে দায়ের করা মামলায় বাদীপক্ষ অভিযোগ করেছে, মাস্কের অধীনে কোম্পানির ৫৭ শতাংশ নারী কর্মী ছাঁটাই করেছে টুইটার; পুরুষ কর্মীদের মধ্যে ছাঁটাই হওয়ার হার ৪৭ শতাংশ।

সাবেক কর্মীদের মামলার বিষয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাড়া পায়নি সিনেট। টুইটারের জনসংযোগ বিভাগের সকল কর্মীকে একযোগে ছাঁটাই করেছেন মাস্ক।

মামলা দায়ের করেছেন যে সাবেক কর্মীরা, সিনেটকে চাকরি হারিয়ে বিপাকে পড়া বন্ধু ও সহকর্মীদের সাহায্য করতে মামলায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার কথা বলেছেন তারা।

লিঙ্গ বৈষম্য মামলার প্রধান বাদী এবং সাবেক টুইটার প্রকৌশলী উইলো রেন টার্কাল সিনেটকে বলেছেন, কোম্পানির এমন অনেক সাবেক কর্মীর ব্যাপারে তার জানা আছে, যাদের ওপর পরিবারের দায়িত্ব আছে, ভিসা জটিলতায় আছেন অথবা মত্রই তারা নিজের পেশাজীবন শুরু করেছিলেন।

“আমি চাই তারা সবাই যেন এ পরিস্থিতি থেকে অন্তত নিজের পাওনা বুঝে নিয়ে বের হয়ে আসতে পারেন,” সিনেটকে বলেছেন তিনি।