স্কটিশ কবি বার্নসের বাড়ি এল মাইনক্রাফট গেইমে

গেইমটির একটি শিক্ষামূলক সংস্করণও আসতে পারে, যা জানুয়ারির ২৫ তারিখ অর্থাৎ বার্নসের জন্মদিনে যুক্তরাজ্যের স্কুলগুলোতে উন্মোচিত হবে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2024, 01:44 PM
Updated : 22 Jan 2024, 01:44 PM

স্কটল্যান্ডের কবি রবার্ট বার্নস যে বাড়িতে বসে তার বিখ্যাত কবিতাগুলো লিখেছিলেন সেই বাড়ির আদলেই জনপ্রিয় ভিডিও গেইম মাইনক্রাফট তাদের গেইমের নতুন সংস্করণটি মোবাইল ফোনের জন্য এনেছে।

মাইনক্রাফট গেইমের ‘এক্সপ্লোর এলিসল্যান্ড’ সংস্করণে এ বাড়ির দেখা পাবেন গেইমাররা। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ গ্লাসগো’র ছাত্র ও শিক্ষকরা মিলে এই সংস্করণটি তৈরি করেছেন, যেখানে জনপ্রিয় কবির ১৮ শতকের বাড়িটির খোঁজ মিলবে। পাশাপাশি বার্নস ও তার পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগের সুযোগ থাকবে।

গেইমটির একটি শিক্ষামূলক সংস্করণও আসতে পারে, যা জানুয়ারির ২৫ তারিখ অর্থাৎ বার্নসের জন্মদিনে যুক্তরাজ্যের স্কুলগুলোতে উন্মোচিত হবে।

১৭৮৮ সালের কবির খামার বাড়িটি আজও স্কটল্যান্ডের ডামফ্রিস এলাকার নিথ নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছে।

গেইমটি খেলার সময় গেইমাররা স্কটিশ গায়িকা এমিলি স্মিথের ‘অল্ড ল্যাং সাইন’ গানটির একটি বিশেষ সংস্করণও শুনতে পাবেন। পাশাপাশি ‘ট্যাম ও' শান্টার’ গানটিও শুনতে পারেন। আর গান দুটি ওই বাড়িতে বসেই লিখেছিলেন বার্নস।

প্রকল্পটি নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল ইউনিভার্সিটি অফ গ্লাসগো ও রবার্ট বার্নস এলিসল্যান্ড ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে, যা পরিচালনার দায়িত্বে আছে ‘এলিসল্যান্ড’ জাদুঘর ও ‘সাউথ অফ স্কটল্যান্ড ডেস্টিনেশন অ্যালায়েন্স (এসএসডিএ)। আর গেইমটি বানাতে ইউনিভার্সিটির গেইমিং ল্যাবের সঙ্গে বার্নস ট্রাস্টের যোগাযোগ ঘটিয়েছিল স্কটিশ অনলাইন সাময়িকী ‘ইন্টারফেইস’।

এ প্রকল্পের অর্থায়ন এসেছে স্কটল্যান্ড সরকারের ‘টুরিজম লিডারশিপ অ্যান্ড রিকভারি ফান্ড’ নামের আর্থিক তহবিল থেকে। এর লক্ষ্য, স্থানীয় ব্যবসা ও কমিউনিটিভিত্তিক পর্যটন কোম্পানিগুলোকে সমর্থন দেওয়া।

২০২২ সালে প্রকাশ পাওয়া মাইনক্রাফট গেইমের পিসি সংস্করণের আদলেই নতুন মোবাইল সংস্করণটি তৈরি হয়েছে।

গেইমিং কমিউনিটি ‘মাইনক্রাফট সোসাইটি’র প্রেসিডেন্ট ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা বেইলি হজসন বলেছেন, “বার্নসের জন্মদিনের প্রথম প্রহর আসার আগেই গেইমের নতুন সংস্করণটি আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে।” তিনি নিজেও প্রায় এক দশক ধরে মাইনক্রাফট গেইমটি খেলছেন।

“মাইনক্রাফট গেইমের এমন সাফল্যে আমরা সত্যিই আনন্দিত, যেখানে আমরা অনেকের কাছ থেকেই সাড়া পেয়েছি— এমনকি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সেও গেইমটি যোগ করা হয়েছে।”

ইউনিভার্সিটি অফ গ্লাসগো’র ল্যাব পরিচালক ও এর ‘স্কুল অফ হিউম্যানিটিস’ বিভাগের ইতিহাস বিষয়ক প্রভাষক ড. টিমোথি পিকক বলেন, “মাইনক্রাফট এলিসল্যান্ডের সাফল্যের পর একই ধরনের বেশ কিছু প্রকল্পের প্রস্তাব এসেছে আমাদের কাছে।”

“গেইমটির প্রতি মানুষের এমন আগ্রহ ও গবেষণাধর্মী গেইমিংয়ের মাধ্যমে ঐতিহ্য খোঁজার নতুন উপায় বের করার সুযোগ পেয়ে আমরা রোমাঞ্চিত।”

রবার্ট বার্নস এলিসল্যান্ড ট্রাস্টের প্রকল্প পরিচালক জোয়ান ম্যাকঅ্যালপাইন বলেন, “গত বছর আমাদের দর্শনার্থী সংখ্যা বেড়েছে, যেখানে মাইনক্রাফট এলিসল্যান্ড গেইমের প্রচারণা নিশ্চিতভাবেই সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।” 

“স্কটিশ ভাষা ও বার্নসের বিভিন্ন কবিতা ব্যবহার করে গেইমটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।”