এই খসড়া অনুসারে অনলাইনে গুজব ছড়ানো, কাউকে অপমান করা, কারো ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করার মতো আচরণগুলো শাস্তিযোগ্য ফৌজাদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে।
Published : 10 Jun 2023, 05:45 PM
অনলাইনে বিভিন্ন নিপীড়নের বিচার ও শাস্তির খাসড়া নীতিমালা তৈরি করে এ বিষয়ে নাগরিকদের মতমত জানতে চেয়েছে চীন সরকার।
সবচেয়ে বেশি অনলাইন ব্যবহারকারীর দেশটিতে নারী ও শিশুদের লক্ষ্য করে সাইবার বুলিয়িংসহ নানা ধরনের আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতা প্রকাশ করে আইনে খসড়া তৈরি করলো চীন সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
অনলাইন নিপীড়নে ক্ষুণ্ণ হবে নাগরিকদের নিরাপত্তার অধিকার সেই সঙ্গে বাড়বে সামাজিক বিশৃঙ্খলা, এ অভিমত জানিয়ে দেশটির জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিম পিপলস কোর্ট যৌথভাবে অনলাইন নিয়ন্ত্রণ আইনটির খাসড়া প্রণয়ন করেছে বলে লিখেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
এই খসড়া অনুসারে গুজব ছড়ানো, কাউকে অপমান করা, কারো ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করার মতো আচরণগুলো সাইবার সংহিংসতা হিসাবে গণ্য হবে যেগুলোকে প্রস্তাবিত আইনটি বলছে শাস্তিযোগ্য ফৌজাদারি অপরাধ।
সাইবার নিপীড়নের অভিযোগে কোনো ভুক্তভোগী মামলা করলে তাদের দ্রুততম সময়ে সহযোগিতা করবে চীনা পুলিশ। ২৫ জুন পর্যন্ত আইনটি নিয়ে মতামত দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সরকার।
কারো মতামত ছাড়াই অনলাইনে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের আধুনা প্রবর্তিত শব্দ –ডক্সিং। সম্প্রতি এমন একটি ডক্সিংয়ে সরগরম চীনের গণমাধ্যম।
ছয় বছরের একজন শিশু স্কুলের আঙিনার ভেতরে শিক্ষকের গাড়িচাপায় প্রাণ হারায়। তারপর শিশুটির মা সামাজিক মাধ্যমে তীব্র নিন্দার শিকার হয়ে একটি বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
সন্তানের মৃত্যুর ১০ দিন পর গত দুই জুন কেন্দ্রীয় শহর উহানে সামাজিক মাধ্যমের শালিসে জর্জরিত হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন তিনি, এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে।