রাশিয়াকে নিজেদের ভূখণ্ডে থাকা সাইবার অপরাধী ঠেকানোর আহ্বান জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এক শীর্ষ আমলা। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তারা অন্য দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
দেশটির রাজধানী ক্যানবেরার সাইবার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট নীতিমালা পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলাকালীন এমন মন্তব্য এলো। এর আগে দেশটির সবচেয়ে বড় কয়েকটি কোম্পানি সাইবার আক্রমণের মুখে পড়েছে।
“সাইবার অপরাধী বিশেষ করে মুক্তিপণ দাবি করা ব্যক্তিদের সবচেয়ে বেশি আনাগোনা রাশিয়ায়।” --সিডনিতে অনুষ্ঠিত ‘এএফআর বিজনেস সামিট’-এ বলেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাইকেল পেজ্জুলো।
“তাদের দেশে আইনের শাসন নেই। তবে, আপনি নিজের প্রচলিত আইনশৃঙ্খলা যেখানে খুশি প্রয়োগ করতে পারবেন, এমন চিন্তাভাবনা পুরোপুরি নির্বোধের।”
“আমরা রাশিয়ার সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন ওইসব হ্যাকারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।”
এই প্রসঙ্গে রয়টার্স দেশটির রাশিয়া দূতাবাসের মুখপাত্রের মন্তব্য জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার সরকার বলেছে, তারা নিজেদের সাইবার নিরাপত্তা নীতিমালা পুরোপুরি ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছে। আর তারা পেজ্জুলোর বিভাগে একটি সংস্থা তৈরি করবে, যা এই ক্ষেত্রের বিভিন্ন সরকারী বিনিয়োগ পরিচালনার পাশাপাশি হ্যাকিং আক্রমণ ঠেকাতে সহায়তা দেবে।
‘সিঙ্গাপুর টেলিকমিউনিকেশনস লিমিটেড’-এর মালিকানাধীন স্বাস্থ্য বীমা সংস্থা ‘মেডিব্যাংক প্রাইভেট লিমিটেড’ ও ‘টেলকো অপ্টাস’সহ অন্তত আট কোম্পানিতে ডেটা লঙ্ঘনের অভিযোগের পাশাপাশি গত বছরের শেষে সাইবার আক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার বাস্তবতায় এমন পদক্ষেপ এলো।
পেজ্জুলো বলেন, গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি অবকাঠামোয় চালানো এক আক্রমণ অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নিরাপত্তায় অন্যতম হুমকি ছিল।
“একটি সাইবার আক্রমণ সত্যিকার অর্থে কোনোরকম বৈশিষ্ট্যহীন হতে পারে...এটি কোনো অপরাধমূলক কার্যক্রম বা সহায়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হতে পারে, যা কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে, তার পক্ষে কাজ করতে পারে এমনকি এর পেছনে একটি রাষ্ট্র নিজেও থাকতে পারে।” --বলেন তিনি।
“এটি যে অস্পষ্টতা তৈরি করে, নিয়ন্ত্রণের কথা ছেড়ে দিলেও কেবল নীতিমালার জন্যই এটি একটি চ্যালেঞ্জ।”
গত মাসে বেশ কয়েকজন রাশিয়ান নাগরিকের বিরুদ্ধে সাইবার হামলার অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। তারা বলছে, তাদের ব্যবসা, স্কুল ও হাসপাতালগুলোকে পঙ্গু করে দিয়েছে বিভিন্ন র্যানসমওয়্যার আক্রমণ।