এনভিডিয়া নিজেদের বিভিন্ন চিপ ডিজাইন করলেও উৎপাদনের জন্য তাইওয়ান সেমিকন্ডাকটর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি বা টিএসএমসি’র মতো ঠিকাদারদের ওপর নির্ভর করে।
Published : 15 Apr 2025, 06:05 PM
চিপে শুল্ক আরোপের পর ৫০ হাজার কোটি ডলারের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই অবকাঠামো নির্মাণ করার ঘোষণা দিয়েছে এনভিডিয়া।
চিপ নির্মাতা কোম্পানিটি বলেছে, আগামী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের এআই অবকাঠামো তৈরি করবে তারা, যা ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে উৎপাদনকারী বিভিন্ন কোম্পানির বিনিয়োগেরই ইঙ্গিত।
এনভিডিয়া মূলত তাইওয়ানে যে সেমিকন্ডাকটর তৈরি করে তার ওপর শুল্ক আরোপের হুমকির কথা রোববার পুনরায় বলেছেন ট্রাম্প।
এ মাসের শুরুতে চিপ নির্মাতা কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী জেনসেন হুয়াং ফ্লোরিডায় মার-এ-লাগো রিসোর্টে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ডিনার করার পর এই ঘোষণা এলো বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এনভিডিয়া’র তৈরি বিভিন্ন চিপ এআই উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে এবং তাদের পার্টনারদের সঙ্গে কারখানায় চিপ ডিজাইন ও উৎপাদনের কাজ করবে কোম্পানিটি। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রেই ‘সুপার কম্পিউটার’ তৈরি করতে পারবে তারা।
এনভিডিয়া নিজেদের বিভিন্ন চিপ ডিজাইন করলেও উৎপাদনের জন্য তাইওয়ান সেমিকন্ডাকটর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি বা টিএসএমসি’র মতো ঠিকাদারদের ওপর নির্ভর করে।
কোম্পানিটি বলেছে, গত অর্থবছরে চিপ উৎপাদন ও এর পরীক্ষা খাতে তাদের রাজস্ব ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ছয়শ ৬০ কোটি ডলার।
অ্যারিজোনার ফিনিক্স শহরে টিএসএমসি’র কারখানায় তাদের জনপ্রিয় ‘ব্ল্যাকওয়েল’ চিপের উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে এনভিডিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে ‘ফক্সকন’ ও ডালাসের ‘উইস্ট্রন’ কোম্পানির সঙ্গে নতুন চিপ প্ল্যান্ট নির্মাণের কাজও চলছে চিপ নির্মাতা জায়ান্টটির। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ১২ থেকে ১৫ মাসের মধ্যে এ দুটি প্লান্টে ব্যাপকহারে চিপ উৎপাদন বাড়াবে এনভিডিয়া।
হুয়াং বলেছেন, আমেরিকায় চিপের উৎপাদন বাড়ানোর ফলে ‘এআই চিপ ও সুপার কম্পিউটারের ক্রমাগত চাহিদা আরও ভালভাবে পূরণ করতে’ ভূমিকা রাখবে কোম্পানিটি, যা এর চিপ সরবরাহ চেইনকে শক্তিশালী করবে।
এদিকে, হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, কার্যত “ট্রাম্প প্রভাবের” কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনভিডিয়া।
এআই চিপের ব্যাপক চাহিদার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শেয়ার বাজারে মূল্য বেড়েছে এনভিডিয়ার। ২০২০ সাল থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ গুণেরও বেশি।
তবে, চলমান শুল্ক অনিশ্চয়তার কারণে এ বছরের শুরু থেকে শত শত কোটি ডলার বাজার মূল্য হারিয়েছে কোম্পানিটি, যার ফলে এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ।