সে মাগশট ছড়িয়ে গেল সবখানে, সবখানে…

সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের ছবির সঙ্গে ‘নেভার সারেন্ডার’ লেখা টিশার্ট, পোস্টার, মগ ও স্টিকারসহ নানা পদের পণ্যে সয়লাব বিভিন্ন অনলাইন-অফলাইন স্টোর।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2023, 01:49 PM
Updated : 26 August 2023, 01:49 PM

ডিজিটাল দুনিয়ায় যে কেউই যে কোনো সময়ে পরিণত হতে পারেন মিমে, চোখের পলকে ভাইরাল হয়ে যেতে পারেন ইন্টারনেটজুড়ে।

কিন্তু যখন থেকেই প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ফুলটন কাউন্টি জেলে আত্মসমর্পণের খবর চাউর হয়েছে তখন থেকেই যেন মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেলে যে তার মাগশট বিশেষ এক স্থান দখল করবে ইতিহাসে। এমনকি টিশার্ট থেকে হতে পারে ভবিষ্যতে শিশুদের পাঠ্যপুস্তকে পর্যন্ত।

তা-ই হয়েছে শেষ পর্যন্ত।

“ইটসি সাইটের খবর হয়ে যাবে” – ভাইরাল হওয়া এক এক্স পোস্টে লেখেন জেসি কেসি। ট্রাম্পের মাগশট বের হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শিল্পকর্ম বিক্রির এই ওয়েবসাইটটিতে “ট্রাম্প মাগশট” লেখে সার্চ দিলে পাঁচ হাজার দুশো ৯০টি সার্চ রেজাল্ট  দেখাচ্ছে বলে উল্লেখ করে টেকক্রাঞ্চ।

এরই মধ্যে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের ছবির সঙ্গে ‘নেভার সারেন্ডার’ লেখা টিশার্ট, পোস্টার, মগ ও স্টিকারসহ নানা পদের পণ্যে সয়লাব বিভিন্ন অনলাইন-অফলাইন স্টোর। 

আত্মসর্পণের সময়েও ট্রাম্প এই বুলি আওড়েছিলেন কিনা তা নিশ্চিত না হলেও তার মাগশটযুক্ত বিভিন্ন পণ্য এখন থেকে কিনতে পারবেন ট্রাম্প ভক্ত কিংবা  সৌখিন সংগ্রাহকরা।

সত্যিকারের মাগশটটি প্রকাশের আগেই অনেকগুলো ভুয়া মাগশট ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে। পুরো বিষয়টির ওপর লোকজনের তীব্র আগ্রহ থাকার ফলেই হয়তো অতোটা কড়াকড়িভাবে তথ্য যাচাই না করেই সংবাদও প্রকাশ করে বসে বিভিন্ন জনপ্রিয় ঘরানার সংবাদ মাধ্যম। ছবিটি নিয়ে ইতোমধ্যেই ঝড় উঠেছে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে। ক্রিস্টি ইয়ামাগুচিমান নামে এক ব্যবহারকারী ছবিটি শেয়ার করে লেখেন, - “রাত ৩টায় আমার মাইক্রোওয়ভে চিকেন নাগেটগুলোকে যেমন দেখায়।” 

টিকটকার কার্বি অ্যালিস বলেন, এইসব ঐতিহাসিক মাগশটের মান খুব ভালো হয় না। তবে, কাউন্টি জেলের ছবিতে এর চেয়ে বেশি কিছু আশাও করা যায় না।

“আমি মোটামুটি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে ক্যামেরা দিয়ে ছবিটি তোলা হবে তা অন্তত ১৭ বছর আগে কেনা। সেটি জর্জিয়ার একটি কাবার্ডের মধ্যে থেকে গরমে নষ্ট হচ্ছিলো, যা দিয়ে তোলা হবে আমেরিকার ইতিহাসের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ছবিগুলোর একটি।” -- ট্রাম্প আত্মসমর্পণের আগের দিন বলেন তিনি। 

“লাইজা মিনেলির মতো করে আমি ট্রাম্পের মাগশটটিকে দেখি।” – লেখেন একজন ডিসকোর্ড ব্যবহারকারী। খুব বেশিদিন তো হয়নি, যখন লাইজা মিনেলি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ চেয়েও দীর্ঘজীবী হওয়ার ঘোষণা দিলেন তার পরপরই ইংল্যান্ডের রানি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।

ট্রাম্পের শাসনামলে আমেরিকার ডান ও বাম শিবিরে যথেষ্ট দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। এখন দেখা যাচ্ছে এক মাগশট দিয়েই তিনি আবার সবাইকে এক কাতারে নিয়ে এলেন। রাজনৈতিক সমর্থন যেদিকেই হোক না কেন, সবাই ট্রাম্পের মাগশট দিয়ে মিম বানাচ্ছেন। আগামী দিনগুলোতে এই সব মিম ডিজিটাল দুনিয়ায় স্থায়ীভাবে রয়ে যাবে এবং সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিবর্তিত হতে থাকবে এক রূপ থেকে অন্য রূপে।

আপনার মনে হতেই পারে সাবেক এক প্রেসিডেন্ট যিনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার কারণে তার মাগশট পুরোপুরি রাজনৈতিক।  কিন্তু কিছু মিম রাজনীতির ধারে কাছেও নেই। এমনই এক অদ্ভুত সময়ের কথাই আসলে তুলে ধরছে এইসব।

“কী যায় আসে!” @রোস্টএমএলোন_ এক্স নামে একজন এক্স পোস্টে লেখেন “হোম অ্যালোন ২-এর একমাত্র অভিনেতা নন ট্রাম্প, যার মগশট প্রকাশ পেলো।”