অ্যামাজনের ২৫ লাখ বইয়ের সংগ্রহ নিয়ে সে সময়ে বেজোস বলেছিলেন, সবচেয়ে বড় বইয়ের দোকানের চেয়েও ১০ গুন বই আছে তার সাইটের সংগ্রহে।
Published : 14 Aug 2024, 05:21 PM
ই-কমার্স খাতের শীর্ষ কোম্পানি হিসেবে অ্যামাজনের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। আর বিশ্বের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সংবাদমাধ্যমগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত বিবিসি, যেখানে ই-কমার্স খাতের উত্থান প্রসঙ্গে ২৭ বছর আগেই সংবাদমাধ্যমটির প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে অ্যামাজনের আয় ছিল ১৪ হাজার ৩৩০ কোটি ডলার। তবে, ইন্টারনেট কীভাবে বিপণন খাতে বিপ্লব বয়ে আনতে পারে, তা খতিয়ে দেখতে ১৯৯৭ সালেই বিভিন্ন স্থানীয় পাউরুটি বিক্রেতা, বই বিক্রেতা এমনকি খোদ জেফ বেজোসকেও প্রশ্ন করেছিল বিবিসি।
‘দ্য মানি প্রোগ্রাম’ শীর্ষক প্রতিবেদনটির সম্প্রচার হয়েছিল ১৯৯৭ সালের নভেম্বরে, যা সম্প্রতি যোগ হয়েছে বিবিসি আর্কাইভের ইউটিউব চ্যানেলে।
এতে প্রতিবেদক নিলস ব্লাইথ ‘তথ্যের মহাসড়কে’ ভ্রমণের চেষ্টা করেছিলেন, যেখানে দেখা গেছে ৯০’র দশকের বিভিন্ন ‘ব্লু স্ক্রিন ইফেক্ট’ ও ‘গ্রাফিক’। আর তখন বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে অনলাইন ব্যবসায় সফল বিপণনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এর মধ্যে ছিল যুক্তরাজ্যের একটি ছোট বেকারি, যারা আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রতি বছর ‘বেক করা’ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করে হাজার হাজার ডলার আয় করেছিল। এ ছাড়া, ব্রিটিশ সুপারমার্কেট চেইন ‘সেইন্সবারি’র ইন্টারনেট, ফোন এমনকি ফ্যাক্স ব্যবহার করে পণ্য বিক্রিতে সফলতার গল্পও উঠে আসে ওই প্রতিবেদনে।
এমনকি ব্লাইথ তখন জেফ বেজোসের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন, যার মাত্র দুই বছর আগেই ‘অ্যামাজন ডটকম’কে অনলাইন বই বিক্রেতা সাইট হিসেবে চালু করেছিলেন তিনি। সে সময় অ্যামাজনের ২৫ লাখ বইয়ের সংগ্রহ নিয়ে দম্ভও করতে দেখা যায় বেজোসকে। তিনি আরও বলেন, বাস্তব বিশ্বে থাকা সবচেয়ে বড় বইয়ের দোকানের চেয়ে ১০ গুন বেশি বই আছে তার সাইটের সংগ্রহে।
আর ‘কয়েক বছরের মধ্যে ইন্টারনেটে বই বিক্রি করা বড় ব্যবসা হয়ে উঠবে’ এমন ভবিষ্যদ্বাণীও করেন তিনি। তার অনুমান আংশিকভাবে সঠিক, কারণ এর চার বছর পরই প্রথমবার এ খাতে লাভের মুখ দেখেছিল অ্যামাজন।