আইওএস ১৬ এবং আইওএস ১৭-তে এমন দুটি ফিচার রয়েছে যা পরিবর্তন করলে আইফোনের ব্যাটারির ওপর কিছুটা চাপ কমতে পারে।
Published : 22 Sep 2024, 03:20 PM
ফোনের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটারির ক্ষমতা কিছুটা কমতে থাকে। আর আইফোনের বেলায় তো এ সমস্যা অনেকেরই হয়। তবে, এমন হলে ফোন বদলানোর কথা না ভেবে কিছু সেটিং পরিবর্তন করেও দেখতে পারেন।
আইওএস ১৬ এবং আইওএস ১৭-তে এমন দুটি ফিচার রয়েছে যা পরিবর্তন করলে আইফোনের ব্যাটারির ওপর কিছুটা চাপ কমতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট সিনেট। চলুন জেনে নেওয়া যাক এর বিস্তারিত।
উইজেটস ব্যবহার করা বাদ দিন
লক স্ক্রিনে যত উইজেটস থাকে সবই ব্যাকগ্রাউন্ডে এসব অ্যাপ চলতে দিতে ওএসকে এক রকম বাধ্য করে। ক্রমাগতভাবে তথ্য সংগ্রহ করে এগুলো আপডেট করে ব্যবহারকারীকে দেখায়, যেমন খেলার স্কোর বা আবহাওয়ার তথ্য। যেহেতু এসব অ্যাপ ক্রমাগতভাবেই চলছে, এর অর্থ এতে ক্রমাগত ব্যাটারি খরচ হচ্ছে।
আইওএস ১৭-এর বেলায় ব্যাটারির চার্জ কিছুটা বাঁচাতে চাইলে লক স্ক্রিনে উইজেটস ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। আর এটি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল, অন্য লক স্ক্রিন প্রোফাইল ব্যবহার করা।
প্রথমে বর্তমান লক স্ক্রিনের ওপরে চেপে ধরে রাখুন। এরপর সোয়াইপ করে অন্যান্য লক স্ক্রিন দেখুন। যেখানে কোনো উইজেটস নেই এমন একটি লক স্ক্রিন বেছে নিন।
আর বর্তমান লক স্ক্রিন থেকে উইজেটস সরিয়ে ফেলতে স্ক্রিনটি চেপে ধরে রাখুন। ‘কাস্টমাইজ’ অপশনে চেপে ‘লক স্ক্রিন’ বেছে নিন। উইজেট বাক্সে চাপুন ও প্রতিটি উইজেটের কোণায় মাইনাস বা – চিহ্নে চেপে মুছে ফেলুন।
কিবোর্ড ভাইব্রেশন বন্ধ করুন
আইফোনে কিবোর্ড ভাইব্রেশন বা কম্পন শুরু থেকে ছিল না। আইওএস ১৬’র সঙ্গে যোগ করা হয় ‘হ্যাপটিক ফিডব্যাক’। শুধু শব্দের পরিবর্তে হ্যাপটিক ফিডব্যাক কিবোর্ডের ভাইব্রেশন বা কম্পন যোগ করে।
কিবোর্ডের এ ফিচার সম্পর্কে অ্যাপলের সাপোর্ট পেইজ বলছে, “হ্যাপটিক ফিডব্যাক আইফোনের ব্যাটারি লাইফকে প্রভাবিত করতে পারে।” তবে, ফিচারটি ব্যাটারি লাইফে কতটা প্রভাব ফেলে সেটি নির্দিষ্ট করে বলা না থাকলেও চার্জ বাঁচাতে চাইলে ফিচারটি বন্ধ রাখাই ভাল।
এ ফিচারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু করা থাকে না। কেউ নিজে চালু করে থাকলে, সেটিংস অপশনে যান, এরপর ‘সাউন্ড অ্যান্ড হ্যাপটিকস’ অপশন বেছে নিন। সেখান থেকে ‘কিবোর্ড ফিডব্যাক’ অপশনে ‘হ্যাপটিক’-এর টগলটি বন্ধ করুন।