১৫ জন মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানদের মধ্যে ২০২৫ সালে কেবল দুইজন ব্যক্তি এই বিশাল আর্থিক ক্ষতিই এড়িয়ে যাননি, বরং তাদের সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে।
Published : 14 Mar 2025, 12:06 PM
এ বছর এখন পর্যন্ত ২১ হাজার সাতশ কোটি ডলার হারিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ মার্কিন ধনী প্রযুক্তি প্রধানরা।
বেশ কয়েকবার ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ার পর বুধবার আমেরিকার শেয়ার বাজার ঘুরে দাঁড়ালেও যেসব প্রযুক্তি কোম্পানি সম্প্রতি ধাক্কা খেয়েছে তাদের ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটেনি বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
এআই খাতে লাভ নিয়ে উদ্বেগ, শুল্ক থেকে শুরু করে সরবরাহ চেইন পর্যন্ত সবকিছু নিয়ে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মূল্যায়ন খুব বেশি বেড়েছে কি না তা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনার কারণে ২০২৫ সালে এরইমধ্যে টেসলা ও এনভিডিয়া’র মতো বিশ্বের অন্যতম বড় প্রযুক্তি কোম্পানির শেয়ার মূল্য কমেছে।
ফলে এসব কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা ব্যাপকহারে অর্থ খুইয়েছেন, যেখানে শীর্ষ দশজন মার্কিন প্রযুক্তি প্রধান এ বছর এখন পর্যন্ত মোট ২১ হাজার সাতশ কোটি ডলার হারিয়েছেন।
দশজনের মধ্যে এখন পর্যন্ত কেবল দুজন ২০২৫ সালের জন্য নিরাপদ অবস্থায় রয়েছে, যেখানে একজন টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক। বুধবারের লেনদেনে টেসলার ৭.৫ শতাংশের বেশি মূল্য বাড়ার পরও ১১ হাজার তিনশ কোটি ডলার হারিয়েছেন মার্কিন এই ধনকুবের।
প্রতিদিন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের ভাগ্যের ওপর নজর রাখে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স বা বিবিআই, যেখানে সম্পদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ধনী ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি, কাজ ও বিনিয়োগ করা কোম্পানির শেয়ার বাজারের দামের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করে ব্লুমবার্গ।
মার্কিন বাণিজ্য প্রকাশনাটি বলছে, এক বছর ধরে শেয়ার পতনের পরও ৩১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার নিয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন মাস্ক। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের চেয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলার এগিয়ে আছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বেজোস।
এ বছর একশ ৯৩ কোটি ডলার হারিয়েছেন বেজোস। অন্যদিকে গুগলের সহ প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেইজ ও সার্গেই ব্রিনের সম্পদের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে কমেছে একশ ৭৫ কোটি ও একশ ৬৪ কোটি ডলার।
তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিবিআই-এর তালিকায় থাকা শীর্ষ ১৫ জন মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানদের মধ্যে ২০২৫ সালে কেবল দুইজন ব্যক্তি বিশাল আর্থিক ক্ষতিই এড়িয়ে যাননি, বরং তাদের মোট সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে।
তারা হলেন মেটা প্রধান মার্ক জাকারবার্গ, যার এ বছর সম্পদ বেড়েছে একশ ১৩ কোটি ডলার। আরেকজন হচ্ছেন মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান বিল গেটস। বেড়েছে একশ ৩০ কোটি ডলার বেড়েছে তার।