চীন জবাবে বলেছে, উল্লিখিত সাইবার আক্রমণ সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল নয়। তবে, অতীতে চীনকে ‘ভুলভাবে অভিযুক্ত করতে’ এমন ‘মনগড়া গল্প’ প্রচার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
Published : 07 Oct 2024, 02:49 PM
বিভিন্ন ব্রডব্যান্ড সরবরাহক কোম্পানির নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালত অনুমোদিত ওয়্যারট্যাপিং সিস্টেম থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চীনা হ্যাকারদের বিরুদ্ধে।
শনিবার সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন বাণিজ্য দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রতিবেদনে বলেছে, সাম্প্রতিক এ সাইবার হামলায় যেসব টেলিকম কোম্পানির নেটওয়ার্কে প্রবেশের সুযোগ মিলেছে, সেগুলো হল ভেরাইজন কমিউনিকেশনস, এটিঅ্যান্ডটি ও লুমেন টেকনোলজিস।
প্রতিবেদন অনুসারে, হ্যাকাররা সম্ভবত কয়েক মাস ধরে এইসব কোম্পানির নেটওয়ার্ক অবকাঠামোতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে, যা তাদের মার্কিন আদালত অনুমোদিত যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট তথ্য দিতে সাহায্য করেছে। এ ছাড়া, হ্যাকাররা এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ট্রাফিকের অন্যান্য শাখাতেও প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে বলে উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।
রোববার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর জবাবে বলেছে, উল্লিখিত সাইবার আক্রমণ সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল নয়। তবে, অতীতে চীনকে ‘ভুলভাবে অভিযুক্ত করতে’ এমন ‘মনগড়া গল্প’ প্রচার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
“সাইবার নিরাপত্তা যখন বিশ্বের সকল দেশে সাধারণ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে, সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টাকে এমন ভ্রান্ত ধারণা বাধার মুখে ফেলবে,” রয়টার্সকে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে হ্যাকারদের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কম্পিউটার সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করার অভিযোগ নাকচ করেছে বেইজিং।
এ প্রসঙ্গে রয়টার্স ভেরাইজন, এটিএন্ডটি এবং লুমেন টেকনোলজিস-এর মন্তব্য জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক সাড়া মেলেনি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, চীনা এক হ্যাকার দল গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে এ আক্রমণ চালিয়েছে, যাদেরকে ‘সল্ট টাইফুন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন তদন্তকারীরা।
বছরের শুরুতে ‘ফ্ল্যাক্স টাইফুন’ নামে পরিচিত শীর্ষ এক চীনা হ্যাকার দলের কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়েছিল মার্কিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যার বেশ কয়েক মাস আগে ‘ভোল্ট টাইফুন’ নামের এক প্রচারণার সূত্র ধরে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে সরাসরি সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি পরিচালনার অভিযোগ তুলেছিল দেশটি।
এ বিষয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বেইজিংয়ের বিভিন্ন সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা এমন প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে, যেখানে দেখা গেছে, ভোল্ট টাইফুন আসলে একটি ‘আন্তর্জাতিক র্যানসমওয়্যার সংগঠনের’ সাজানো নাটক।