কর্মী ছাঁটাইয়ে মেটার শেষ পর্বের শুরু, এবার ১০ হাজার

মার্চেই সিইও জাকারবার্গ বলেছিলেন তিন ধাপে কর্মী ছাঁটাইয়ের দ্বিতীয় পর্যায়টি সম্পন্ন হবে, যার মধ্যে মে মাসের ধাপটি সর্বশেষ এবং সবচেয়ে বড়।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2023, 12:32 PM
Updated : 25 May 2023, 12:32 PM

তিন দফায় ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের শেষ ধাপ শুরু করেছে মেটা। ব্যবসা কাঠামো টেকসই করার লক্ষ্যে ২০২৩ সালকে সক্ষমতা বৃদ্ধির বছর ঘোষণা করে এই সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট ২০২২ সালে ছাঁটাই কার্যক্রমের ঘোষণা দিয়েছিল।

মেটার আয়ের প্রধান খাত বিজ্ঞাপন। ২০২২ সালে বিজ্ঞাপনে ভাটা পড়লে মোট আয়ের দুই তৃতীয়াংশই হারায় মেটা। এর পরপরই অক্টোবরে শেয়ার বাজার থেকে আট হাজার কোটি ডলার সরিয়ে নেন বিনিয়োগকারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় নভেম্বরে ১১ হাজার ও ২০২৩ সালের মার্চে চার হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পর এ বছর আরও ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন মার্ক জাকারবার্গ।

কোম্পানিটির বেশ কিছু কর্মী বুধবার তাদের লিংকডইন অ্যাকাউন্টে চাকরিচুত্যির বিষইয়টি জানিয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলেছে রয়টার্স। এই ছাঁটাইয়ে রয়েছে বিজ্ঞাপন বিক্রয়, বিপণন এবং অন্যান্য অংশীদার কোম্পানির কর্মীরা।

মার্কিন শেয়ার বাজারে দিনের লেনদেন শুরুর আগেই কোম্পানিটির শেয়ার ছিলো আগের দিনের তুলনায় খানিকটা কম।

গত মার্চে সিইও জাকারবার্গ বলেছিলেন তিন ধাপে কর্মী ছাঁটাইয়ের  দ্বিতীয় পর্যায়টি সম্পন্ন হবে, যার মধ্যে মে মাসের ধাপটি সর্বশেষ এবং সবচেয়ে বড়। তবে তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতেও ছোট ছোট আকারে ছাঁটাই চলতে পারে। 

সব মিলিয়ে ছাঁটাইকৃতদের বেশিরভাগ কারিগরি নয় এমন বিভাগের কর্মী। এতে করে প্রোগ্রামাররা ফের মেটায় হয়ে উঠেছেন সবচেয়ে বড় পেশাজীবী শ্রেণি। মার্চে জাকারবার্গ বলেছেন তিনি বিপনন বিভাগকে “টেকসই” করে ঢেলে সাজাতে চান যাতে “অন্যান্য বিভাগের উপর সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের আধিপত্য আবার ফিরে আসবে।”

এমনকি এ দফায় ছাঁটাই হওয়া কারিগরি কর্মীদের মধ্যে বেশির ভাগ কনটেন্ট ডিজাইন এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স গবেষণা দলের সদস্যরা থাকলেও সফটওয়্যার প্রকৌশলী খুব একটা দেখা যায় নি। এ ঘটনার পরপর কোম্পানির টাউন হল মিটিংয়ে এক কর্মকর্তা এ কথা বলেন।

মার্চে ছোট আকারে একটি ছাঁটাইয়ের পরে এক টাউনহল মিটিংয়ে জাকারবার্গ বলেন, এপ্রিলে চার হাজার কর্মীকে বিদায় নিতে হবে মেটা থেকে। 

কোভিড মহামারীতে ই-কমার্সের অভাবনীয় উত্থান আর ক্রমবর্ধামান মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতিতে কোম্পানিটির প্রধান আয়ের খাত বিজ্ঞাপন কমতে কমতে কোম্পানিটির মোট আয় দাঁড়ায় তিন ভাগের এক ভাগ।

কোম্পানিটি মেটাভার্সের মত সম্ভবনাময় প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে।  যদিও মেটাভার্সের রিয়ালিটি ল্যাব নির্মাণে  চার দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার লোকসান গুণতে হয়েছে এবং প্রকল্পটির ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট লোকসান এক হাজার তিনশ ৭২ কোটি ডলার।