২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে নতুন পেট্রল ও ডিজেলে চালিত গাড়ির বিক্রি বন্ধ করার লক্ষ্য নিয়েছে ৫৫ লাখ জনসংখ্যার এ নর্ডিক দেশটি।
Published : 18 Sep 2024, 05:34 PM
বিশ্বে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর অন্যতম নরওয়ে। আর সেদেশের রাস্তায় এখন পেট্রল চালিত যানবাহনের চেয়ে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির সংখ্যাই বেশি।
নরওয়েজিয়ান রোড ফেডারেশনের নতুন পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশটিতে নিবন্ধিত ২৮ লাখ প্রাইভেট কারের মধ্যে সাত লাখ ৫৪ হাজার ৩০৩টিই এখন পুরোপুরি বিদ্যুচ্চালিত। সে তুলনায়, পেট্রল চালিত গাড়ির সংখ্যা সাত লাখ ৫৩ হাজার ৯০৫টি।
২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে নতুন পেট্রল ও ডিজেলে চালিত গাড়ির বিক্রি বন্ধ করার লক্ষ্য নিয়েছে ৫৫ লাখ জনসংখ্যার এ নর্ডিক দেশটি।
ইভি’র বিক্রি বেড়ে যাওয়ার পেছনে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে ট্যাক্স শিথিল ও অন্যান্য প্রণোদনা, যেখানে আর্থিক বিনিয়োগের সিংহভাগই আসে তেল এবং গ্যাস বিক্রি করে নরওয়ে যে অর্থ উপার্জন করে, সেখান থেকে।
দেশটির সার্বভৌম সম্পদ তহবিল এক দশমিক সাত ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। মূলত তেলক্ষেত্র থেকে আয় হওয়া এই সম্পদকে দেশটি একটি ‘পেনশন তহবিল’ হিসাবে রাখতে চাইছে, বিশেষ করে সেই সময়ের জন্য যখন এই খনিজ তেল ফুরিয়ে যাবে।
ইভি বিপ্লবের শুরুর দিনগুলোয়, এদের প্রচারণার জন্য নরওয়ে’র পরিবেশ কর্মীরা দেশটির সবচেয়ে বড় পপ ব্যান্ড ‘আ-হা’র সহায়তা নিয়েছিল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
এ মাইলফলকের পরও এখনও অনেক কাজ বাকি। এখনও দেশটির সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত গাড়ি চলে ডিজেলে। তবে, এদের বিক্রি খুব দ্রুতই কমে আসছে বলে দাবি করেছে নরওয়েজিয়ান রোড ফেডারেশন।
ইভি শিল্পের পরিসংখ্যান থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, বর্তমানে নরওয়েতে বিক্রি করা প্রতি ১০টির মধ্যে নয়টি গাড়িই বিদ্যুচ্চালিত। এর মধ্যে অনেক জায়গাতেই ইভি’র জন্য বিনামূল্যে পার্কিং ও ড্রাইভারদের জন্য শহরে টোল আদায় বন্ধ করার মতো সুবিধা চালু করেছে দেশটি।
অনেক দেশের বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির মালিকই চার্জিং ফ্যাসিলিটি না থাকার বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে এলেও নরওয়ের প্রতিটি শহরেই অসংখ্য বিনামূল্যের চার্জার আছে, যেখানে দেশটির রাজধানী ওসলো’তেই এর সংখ্যা দুই হাজার।