স্ক্যাম অপরাধে ডিপফেইকের ব্যবহার ২০২৩ ও ২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ২৪৫ শতাংশ বেড়েছে। কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই এটি বেড়েছে ৩০৩ শতাংশ।
Published : 19 Sep 2024, 10:51 AM
এআই প্রযুক্তির সাম্প্রতিক উত্থানের পর এর নানা প্রয়োগ দেখা গেছে প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন স্তরে। আর বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত গুগলের সার্চ ফিচারেও ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে এআইয়ের তৈরি ছবি। ফলে, মানুষ যা খুঁজতে চাইছে সেটি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সার্চ জায়ান্ট গুগল মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নিজেদের সার্চ ফিচারে এআইয়ের মাধ্যমে তৈরি ও এডিট করা ছবি লেবেল করতে শুরু করবে তারা।
‘অ্যাবাউট দিস ইমেইজ’ পৃষ্ঠার মাধ্যমে গুগল এআই তৈরি ছবির বিষয়ে ব্যবহারকারীদের জানাবে। আর ‘সার্চ, ‘গুগল লেন্স’ এবং অ্যান্ড্রয়েডের ‘সার্কল টু সার্চ’ ফিচারে এটি প্রয়োগ করবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ডিজিটালট্রেন্ডস।
নিজেদের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন পরিষেবাতেও গুগল এ প্রযুক্তি প্রয়োগ করছে এবং ইউটিউব ভিডিওতেও অনুরূপ পতাকা যুক্ত কথা ভাবছে। তবে, কোম্পানির ঘোষণা অনুসারে “বছরের শেষের দিকে এতে আরও আপডেট আসবে”।
এআই জেনারেটেড ছবি শনাক্ত করার জন্য কোয়ালিশন ফর কনটেন্ট প্রোভেন্যান্স অ্যান্ড অথেনটিসিটি (সি২পিএ) মেটাডেটার ওপর নির্ভর করবে গুগল। এটি এ খাতের একটি সংঘ যেখানে কোম্পানিটি এ বছরের শুরুতে স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হিসাবে যোগ দেয়।
ছবির উৎস খুঁজতে, কখন ও কোথায় ছবিটি তৈরি করা হয়েছে সেটি এবং তৈরিতে ব্যবহার হওয়া টুল এবং সফটওয়্যার শনাক্ত করতে গুগলের ‘সি২পিএ মেটাডেটা’ ব্যবহার করার কথা প্রতিবেদনে লিখেছে ডিজিটালট্রেন্ডস।
এখন পর্যন্ত অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, ওপেনএআই এবং অ্যাডোবিসহ সফটওয়্যার খাতের অনেক জায়ান্ট কোম্পানিই সি২পিএ-তে যোগ দিয়েছে। তবে, এটি হার্ডওয়্যার নির্মাতাদের মধ্যে কমই সাড়া ফেলেছে। বর্তমানে এটি শুধু কয়েকটি সনি ও লাইকা ক্যামেরা মডেলে পাওয়া যায়।
গেল দুই বছরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি ডিপফেইক ছবি ব্যবহার করে অনলাইন স্ক্যামের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে।
উদাহরণ হিসেবে ফেব্রুয়ারি মাসে হংকংভিত্তিক একজন অর্থ কর্মকর্তা একটি ভিডিও কনফারেন্স কলের সময়, কোম্পানির সিএফও হিসাবে সামনে আসা স্ক্যামারদের কাছে দুই কোটি ৫০ লাখ ডলার পাঠিয়ে প্রতারিত হয়েছিলেন।
তথ্য যাচাইকরণ প্রতিষ্ঠান সামসাবের এক সমীক্ষায় মে মাসে উঠে এসেছে, স্ক্যাম অপরাধে ডিপফেইকের ব্যবহার ২০২৩ ও ২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ২৪৫ শতাংশ বেড়েছে। আর শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বেড়েছে ৩০৩ শতাংশ।