তালিকায় থাকা ছয় কোম্পানির মধ্যে পিনডুওডুও একমাত্র কোম্পানি, যারা অবৈধ গাছ ও প্রাণী বেচা-কেনা বন্ধ করতে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
Published : 10 Nov 2023, 11:08 AM
পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য গ্রাহকদেরকে টেকসই কোনো সমাধান দিতে পারছে না চীনের শীর্ষ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো।
বৃহস্পতিবার চীনা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছে পরিবেশবাদী সংগঠন ‘গ্রিনপিস’।
“আমাদের সর্বশেষ বিশ্লেষণের পর কয়েকটি কোম্পানি স্পষ্টভাবেই অগ্রগতি দেখিয়েছে।” --বলেন গ্রিনপিসের বেইজিং অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ট্যাং ডামিন।
“তবে, সামগ্রিকভাবে চীনের ই-কমার্স জায়ান্টরা এখনও নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে এ বিষয়ে যথেষ্ট কাজ করেনি।”
চীনের ছয় শীর্ষ ই-কমার্স কোম্পানি নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে গ্রিনপিস বলেছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বাজে ফলাফল দেখিয়েছে ডিসকাউন্ট অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘পিনডুওডুও’। আর জলবায়ু ও পরিবেশ সুরক্ষার বেলাতেও ‘কোনো অগ্রগতি দেখায়নি’ তারা।
জলবায়ু পরিবর্তন, বর্জ্য, বিপজ্জনক রাসায়নিক ও জীববৈচিত্র্যের মতো বিষয় নিয়ে যথেষ্ট কাজ না করায় গ্রিনপিসের তালিকায় নেতিবাচক স্কোর পেয়েছে পিনডুওডুও।
এ প্রসঙ্গে রয়টার্সকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি কোম্পানিটি।
এদিকে, তালিকায় থাকা ছয় কোম্পানির মধ্যে পিনডুওডুও একমাত্র কোম্পানি, যারা অবৈধ গাছ ও প্রাণী বেচা-কেনা বন্ধ করতে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, ভিডিও অ্যাপ অপারেটর কুয়াইশউ ও ডৌয়িন উভয়ই বিভিন্ন এমন নিষিদ্ধ পণ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, যেগুলো অগাস্টের শেষেও তাদের প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাচ্ছিল।
এ প্রসঙ্গে কুয়াইশউ বা ডৌয়িনের মালিক কোম্পানি বাইটড্যান্স কেউই রয়টার্সকে মন্তব্য করেনি।
গ্রিনপিস বলেছে, ছয় কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে ভালো কার্যকারিতা দেখিয়েছে আলিবাবা। এটিই একমাত্র কোম্পানি, যারা ‘নিজস্ব প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারী ও ব্যবসাগুলোকে সম্পৃক্ত করে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানোর কৌশল অবলম্বণ’ করেছে।
এ প্রসঙ্গে রয়টার্স আলিবাবার মন্তব্য জানতে চাইলে তারাও সাড়া দেয়নি।