নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের শীর্ষ চারে বাংলাদেশ

প্রথমবারের মতো বিশ্বের ৭৯ টি দেশের প্রায় ২৭২৯টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের দুইটি বিভাগে শীর্ষ চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। আজ ছয়টি বিভাগে শীর্ষ ২৫টি দলের নাম ঘোষণা করেছে নাসা, এর মধ্যে দুটি বিভাগের সেরা চারে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2018, 05:34 PM
Updated : 8 Dec 2018, 05:34 PM

বেসিস-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর আগে পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ দশে জায়গা করে নিলেও, এই প্রথমবারের মতো মূল বিভাগের শীর্ষ চারে জায়গা করে নিলো বাংলাদেশ।

‘বেস্ট ইউজ অব ডেটা’ বিভাগে ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর আর জাপানের সঙ্গে শীর্ষে উঠে এসেছে সিলেট থেকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া দল ‘টিম অলিক’।

টিম অলিকের “লুনার ভিআর প্রজেক্ট”টি মূলত একটি ভার্চুয়াল রিয়ালিটি অ্যাপ্লিকেশন যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী চাঁদে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পাবেন। টিম অলিক নাসা প্রদত্ত বিভিন্ন রিসোর্স থেকে থ্রিডি মডেল ও তথ্য সংগ্রহ করে, নাসা আপোলো ১১ মিশন এর ল্যান্ডিং এরিয়া ভ্রমণ , চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা এবং চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আবর্তন করা এই তিনটি ভিন্ন পরিবেশকে ভার্চুয়ালভাবে তৈরি করেছে।

বেস্ট ইউজ অফ হার্ডওয়্যার বিভাগে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া আর তাইপের সঙ্গে শীর্ষ চারে উঠে এসেছে ঢাকা থেকে রানার্স-আপ হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘প্ল্যানেট কিট’। ‘প্ল্যানেট কিট’ যে ডিভাইসটি তৈরি করেছে সেটি মঙ্গল গ্রহে বেঁচে থাকার জন্য সহায়তা করবে। "প্ল্যানেট কিট" পরিবেশের ডেটা প্রদান, প্রাথমিক স্তরের রাসায়নিক পরীক্ষা, জরুরী সতর্কতা এবং বিপত্তি থেকে সহায়তা, মাটির গঠন মূল্যায়ন, পানীয়যোগ্য পানি সংগ্রহ, পথ পরিকল্পনা ,থ্রিডি ভার্চুয়ালাইজেশন ইত্যাদি কাজে সাহায্য করবে। এই ডিভাইসটি নিকট ভবিষ্যতে ঘন ঘন মহাকাশ যাত্রা, স্থান ভ্রমণের খরচ হ্রাস, মূল্যবান গবেষণা তথ্য সংরক্ষণ, এমনকি পৃথিবীতে বিভিন্ন গবেষণার কাজে সাহায্য করবে।

এবছরের ১৯ থেকে ২০ অক্টোবর শীর্ষ ৪০টি প্রকল্প নিয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশে টানা ৩৬ ঘন্টার হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে শীর্ষ ৮টি প্রকল্পকে নাসার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়।

২০১৯ সালের ফেব্রুরিতে প্রতিটি বিভাগের চ্যাম্পিয়নের নাম ঘোষণা করা হবে। ছয়টি বিভাগের ছয়টি চ্যাম্পিয়ন দল নাসায় যাওয়ার এবং শিক্ষানবিশ হিসেবে কিছুদিন কাজ করার সুযোগ পাবে।