সম্প্রতি পুরানো আইফোনে ধীর গতি আনার বিষয়টি স্বীকার করে অ্যাপল। পরবর্তীতে সমালোচনা ও মামলার মুখে এ নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি।
ভুল শোধরাতে কম মূল্যে পুরানো আইফোনের ব্যাটারি পরিবর্তনের ঘোষণা দেয় অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, আরও কম খরচে আইফোনের ব্যাটারি পরিবর্তন করবে তারা। আর ২০১৮ সালে এমন সফটওয়্যার আনা হবে যার মাধ্যমে ব্যাটারির স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন গ্রাহক, বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
এক বিবৃতিতে অ্যাপল জানায়, “ওয়ারেন্টি শেষ হয়েছে এমন আইফোনের ব্যাটারি পরিবর্তন করতে ৭৯ মার্কিন ডলারের পরিবর্তে ২৯ ডলার নেওয়া হবে। আইফোন ৬ বা এর পরবর্তী মডেলগুলোর জন্য এটি প্রযোজ্য হবে।”
মস্কোভিৎজ বলেন, ৭৭ শতাংশ গ্রাহক আইফোন ৬, ৬ প্লাস, ৬এস, ৬এস প্লাস, ৭, ৭প্লাস ও এসই ব্যবহার করেন। এর মধ্যে অল্প সংখ্যক গ্রাহকও যদি নতুন আইফোন কেনার বদলে পুরানো আইফোনের ব্যাটরি পরিবর্তন করেন তাহলেও চলতি বছর আইফোন বিক্রিতে এর অর্থপূর্ণ প্রভাব পড়বে-- খবর রয়টার্স-এর।
আইফোনে ধীর গতির কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে অ্যাপল জানায়, তাদের অ্যালগরিদম এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ব্যাটারিতে চার্জ কম থাকলেও ডিভাইসটি পুরোপুরি বন্ধ না হয়ে সন্তোষজনক কার্যক্ষমতা দিতে পারে।
এর ফলে কিছু গ্রাহক ধারণা করেছেন, তারা যাতে নতুন আইফোনে আপগ্রেড করেন সে কারণেই পুরানো আইফোনে ধীর গতি আনা হয়েছে।
জবাবে অ্যাপলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “গ্রাহকদেরকে সবচেয়ে ভালো কার্যক্ষমতা দেওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য, এর মধ্যে সার্বিক কার্যক্ষমতা ও ডিভাইস দীর্ঘস্থায়ী করার বিষয় রয়েছে। শীতল আবহাওয়ায় লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি চাহিদার থেকে কম শক্তি সরবরাহ করে, অনেকদিন ব্যবহারের পর ব্যাটারির চার্জ কম থাকে, যার কারণে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাংশগুলো রক্ষা করতে ডিভাইসটি অনাকাংক্ষিতভাবে বন্ধ হয়ে যায়।”
“আগের বছর আইফোন ৬, আইফোন ৬এস এবং আইফোন এসই-এর জন্য নতুন ফিচার এনেছে অ্যাপল। প্রতিকূল অবস্থাগুলোতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ডিভাইস যাতে বন্ধ না হয় সে কারণেই ফিচারটি আনা হয়েছে।”
এই ফিচারের কারণেই ডিভাইসগুলোতে কিছুটা ধীর গতি দেখা দিতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।