জাস্টিন রোজেনস্টেইন নামের এই প্রকৌশলী ২০০৭ সালে সর্বপ্রথম এই ‘লাইক’ ফিচার তৈরি করেন। কিন্তু বিশ্বব্যাপী মানুষের উপর অ্যাপগুলোর মানসিক প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত তিনি, বলা হয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদনে।
৩৪ বছর বয়সী রোজেনস্টেইন এতটাই উদ্বিগ্ন যে তিনি নিজেকে রেডিট আর স্ন্যাপচ্যাট থেকেও বিরত রেখেছেন। ফেইসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও তিনি মেনে চলেন কড়া সময়সীমা, বলা হয়েছে আরেক ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদনে।
সম্প্রতি নতুন আইফোন কিনেছেন জাস্টিন। কেনার পর নিজের সহযোগীকে এমন এক ফিচার বানাতে বলেছেন যা তাকে একদমই কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করতে দেবে না।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটি ‘লাইক’ ফিচারকে ‘মিথ্যা আনন্দের সবচেয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন এই প্রকৌশলী। তিনি বলেন, “মানুষের জন্য নিজের সর্বোত্তম ইচ্ছা দিয়ে কিছু বানানোটা খুবই প্রচলিত আর এক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃতও কিছু পেতে হয়, নেতিবাচক ফলাফল।”
২০১৬ সালের এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, কমবয়সীরা যত বেশি সামাজিক মাধ্যমে সময় ব্যয় করবে ততই তারা বিষন্ন হয়ে পড়বে। আরেক গবেষণা কমবয়সীদের মানসিক স্বাস্থ্যে সবচেয়ে বাজে প্রভাব রাখার ক্ষেত্রে ইনস্টাগ্রাম সবার শীর্ষে অবস্থান পায়।
সামাজিক মাধ্যমে ব্যবহার নিয়ে রোজেনস্টেইন বলেন, “প্রত্যেকের চিন্তাই বিক্ষিপ্ত। পুরোটা সময়।”