সামাজিক মাধ্যম কমবয়সীদের ‘উদ্বিগ্ন করছে’

সামাজিক মাধ্যমগুলো কমবয়সীদের আরও বেশি উদ্বিগ্ন করে তুলছে, হয়রানিবিরোধী দাতব্য প্রতিষ্ঠান ডিচ দ্য লেবেল-এর এক গবেষণায় এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2017, 10:17 AM
Updated : 19 July 2017, 10:17 AM

গবেষণায় অংশনেওয়া ৪০ শতাংশই বলেছেন, কেউ তাদের কোনো সেলফি ‘লাইক’ না করলে তাদের বাজে লাগে। আর ৩৫ শতাংশের কথা হচ্ছে, তাদের আত্মবিশ্বাস তাদের ফলোয়ার সংখ্যার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত, খবর বিবিসি’র।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রতি তিনজনের একজন বলেছেন, তারা সাইবার হয়রানির ভয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে তাদের চেহারা নিয়ে হয়রানি হওয়ার ভয় সবচেয়ে বেশি থাকে বলেও মত তাদের।

একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, “শিশুরা একটি বৈরি সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠছে।”

১২ থেকে ২০ বছর বয়সী ১০ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে এই জরিপ চালানো হয়। এই গবেষণায় বোঝা যায়, সাইবার হয়রানি অনেক বেশি ছড়িয়ে গেছে। প্রায় ৭০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী স্বীকার করেছেন, তারা অনলাইনে অন্য মানুষদের প্রতি হয়রানিমূলক আচরণ করেন আর ১৭ শতাংশের দাবি তারা অনলাইনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

৪৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেন, তারা তাদের জীবনের খারাপ বিষয়গুলো নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা করেন না আর অধিকাংশরাই তাদের জীবনধারার একটি ‘সম্পাদিত সংস্করণ’ সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেন। সম্পাদিত সংস্করণ বলতে খারাপ দিকগুলো বাদ দিয়ে ভালো দিকগুলো সাজিয়ে তুলে ধরাকে বোঝানো হয়েছে।

এই গবেষণায় দেখা যায় নিচু মানের কমেন্টের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সামাজিক মাধ্যম হচ্ছে ছবি শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম।

দাতব্য প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী লিয়াম হ্যাকেট বলেন, “কমবয়সীদের সম্মুখীন হওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে সাইবার হয়রানি একটি হয়ে উঠছে।”

অনলাইনে কমেন্টগুলো নজরদারিতে আরও বেশি কাজ করতে ও অভিযোগ করার পর আরও দ্রুত সাড়া দিতে সোশাল নেটওয়ার্কগুলোকে আহ্বান জানান তিনি। 

অন্যদিকে, চলতি মাসের শুরুতে অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট (ওএলএল)-এর গবেষণায় বিপরীতধর্মী তথ্য প্রকাশ পায়। এতে বলা হয়, সাইবার হয়রানি অপেক্ষাকৃত দুর্লভ।

ওএলএল-এর গবেষণায় ১৫ বছর বয়সীদের উপর মনযোগ দেওয়া হয়। এতে দেখা যায়, ৩০ শতাংশ নিয়মিত হয়রানির শিকার হয় আর তিন শতাংশ অফলাইন ও অনলাইন দুই জায়গাতেই হয়রানির শিকার হয়।

জরিপদুটির ফলাফলে এমন বিশাল তফাৎ প্রশ্নের ধরনের কারণে হয়েছে বলে মন্তব্য দাতব্য সংস্থা কিডস্পেইস-এর প্রধান নির্বাহী লরেন সিগার-স্মিথ এর। তবে তিনি ডিচ দ্য লেবেল-এর গবেষণার ফলাফলে অবাক নন বলে জানান।