মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বার্ফ বলেন, অ্যাপলের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব কম থাকাটা সব সময় ভাল নয়। অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস বিশৃংখলার মধ্যেই আইফোন উদ্ভাবন করেছিলেন।
তিনি বলেন, “২০০৭ সালে অ্যাপল প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিশৃংখল ছিল। আমাকে একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনায় নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু একটি প্রকল্পে দুই বছরের কাজে একজন ব্যবস্থাপকের মূল দায়িত্বের কোনো কাজ ছিলই না। কারণ সেখানে প্রতিষ্ঠানের বদলে প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছিল।”
“এটি ছিল আমার কাজের ‘পুরোপুরি’ উল্টো। সেখানে আমার কাজ ছিল নিজের অবস্থানের তোয়াক্কা না করে যে সমস্যাই আসুক তার সমাধান করা। এটি বিশৃংখল হলেও তা ছিল ফলপ্রসু। কারণ আপনি যা করছেন তার সর্বোচ্চ প্রভাব পড়ছে পণ্যে।”
কিন্তু আজকের অবস্থা স্পষ্টভাবেই পরিবর্তন হয়েছে এবং অ্যাপল এখন তার বর্তমানে প্রতিষ্ঠান ‘পাম’-এর কার্য কৌশলের খুব কাছে পৌঁছে গেছে। সম্প্রতি ৩ডি প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠান ‘বিল্ট ইট’-কে কিনেছে বার্ফ-এর পাম।
বার্ফ বলেন, “পাম-এ কাজ করার ক্ষেত্রে দলগুলো উচ্চমাত্রায় প্রাতিষ্ঠানিক এবং সকলের দায়িত্বগুলো নির্দিষ্ট।”
২০১১ সালে অ্যাপল প্রধানের দায়িত্ব নেওয়া টিম কুক প্রতিষ্ঠানটিকে সবচেয়ে ধনী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। তার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটির ২০১১ সালের ১০৮২০ কোটি মার্কিন ডলারের আয় ২০১৬ সালে দ্বিগুণ হয়ে ২১৫৭০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। আয় বাড়লেও একে সাফল্য হিসেবে মনে করছেন না বার্ফ।
টিম কুক স্টিভ জবস থাকাকালীন স্কট ফরস্টাল-এর মতো চ্যালেঞ্জিং নেতা কে পদ থেকে সরিয়েছেন। আইফোনের আইওএস প্ল্যাটফর্মের প্রধান ছিলেন ফরস্টাল। ফরস্টাল ছাড়াও অন্যান্য নির্বাহীর সঙ্গে বিবাদ ছিল কুক-এর।
কুক অ্যাপলের ব্যয় বাড়ালেও স্বচালিত গাড়ি, টিভি এবং টিভি-এর মতো উদ্ভাবনী দিকগুলোতে ধীর গতিতে এগোচ্ছে বলেও জানান বার্ফ।