যাত্রীবাহী ড্রোন বাজারে আনার শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান ‘ডেভেলপারস আরবান অ্যারোনটিকস’। ২০২০ সালের মধ্যেই তা বাজারে আনার ব্যাপারে আশাবাদী প্রতিষ্ঠানটি।
Published : 04 Jan 2017, 06:02 PM
১৫ বছর ধরে ‘করমোর্যান্ট’ নামের ড্রোনটির গবেষণা করে আসছে এই প্রতিষ্ঠান। আগের বছর নভেম্বর স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি সফল তার প্রথম উড্ডয়ন শেষ করে। এবার শীঘ্রই যাত্রীবাহী এই ড্রোনটি বাজারে আনার ব্যাপারে আশাবাদী এর নির্মাতারা, জানিয়েছে রয়টার্স।
১৫০০ কেজি ওজনের এই ড্রোনটি ৫০০ কেজি পর্যন্ত ওজন নিয়ে যাত্রা করতে পারে। আর প্রতি ঘন্টায় এটি ১৮৫ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে বলেও জানানো হয়। বাজারে ছাড়া হলে ড্রোনটির মূল্য ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে পারে বলে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাস এই ড্রোনটি প্রতিকূল পরিবেশ থেকে মানুষকে উদ্ধার করা এবং সেনাবাহিনীর কাজে লাগতে পারে। হেলিকপ্টারের মতো প্রপেলারের পরিবর্তে অভ্যন্তরীন রোটর ব্যবহার করা হয়েছে করমোর্যান্ট-এ।
“ধরুন শহরে একটি ক্ষতিকর বোমা রয়েছে এবং ভিন্ন ধরনের কোনো রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে তখন এই যানটি দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করে রোবটের মতো সেখানে যেতে পারে, রাস্তায় নামতে পারে এবং এলাকাটি পুনরায় বিপদমুক্ত করতে পারে,” বলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী রাফি জোয়েলি।
ড্রোনটি তৈরি করতে ৩৯টি পেটেন্ট নিবন্ধন করা হয়। পুর্বে এটিকে ‘এয়ার মূল’ নামে ডাকা হচ্ছিল। নভেম্বরে পরীক্ষামূলক চালনায় ছোট ছোট কিছু ত্রুটি দেখা গিয়েছে।
এই প্রযুক্তি মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইসরায়েল-এর ফিশার ইনস্টিটিউট ফর এয়ার অ্যান্ড স্পেস স্ট্রাটেজিক স্টাডিস-এর ইউএভি প্রধান তাল ইনবার বলেন, “এটি যুদ্ধের কিছু ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে, এর মধ্যে সৈন্যদের জরুরী মেডিকেল সেবাও অন্তর্ভূক্ত।”