তানজানিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় উচ্চভূমি লুনইয়ানউই গ্রামে গান-বাজনা আর অন্যান্য রীতি মেনে নবজাতককে সম্প্রদায়ে বরণ করে নেওয়ার প্রথা বহুদিনের। কিন্তু প্রত্যন্ত এসব অঞ্চলে এই শিশুদের জন্য কোনো জন্মসনদ বা নিবন্ধনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না কিছুদিন আগেও।
Published : 29 Nov 2016, 07:56 PM
এজন্য সম্প্রতি দেশটিতে চালু হয়েছে ‘এমবার্থ’ নামের নতুন অ্যাপভিত্তিক নিবন্ধন ব্যবস্থা। রেজিস্ট্রেশন ইনসলভেনসি অ্যান্ড ট্রাস্টিশিপ এজেন্সি (আরআইটিএ) আর মোবাইল সেবাদাতা সংস্থা টিগো মিলিতভাবে জন্ম- মৃত্যু নিবন্ধনের নতুন এই ব্যবস্থা চালু করেছে।
তানজানিয়ার অধিবাসী অ্যান্টোনিয়া কিসেনা আর তার স্বামী মোসেস-এর তৃতীয় সদ্যজাত সন্তান আর্নল্ড জন্মের পরেই পেয়েছে জন্মসনদ। “এটি অত্যন্ত দ্রুত প্রক্রিয়া। সহজেই মোবাইলে সব নথিবদ্ধ করা যায়”, বলেন কিসেনা।
আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে তানজানিয়ায় জন্ম নিবন্ধনের হার অনেক কম। রয়টার্স জানিয়েছে, বেসামরিক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে পাঁচ বছরের কমবয়সী মাত্র ১৬ শতাংশ শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা হয়েছে।
শিশু অধিকার প্রচারণাকর্মীদের মতে, শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা আর বিচার ব্যবস্থাসহ সব মৌলিক অধিকারের জন্য জন্ম নিবন্ধন অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু তানজানিয়ার মানুষ নিবন্ধনের খরচ, গ্রামীণ পথে নিবন্ধনের জন্য দীর্ঘ দূরত্ব পাড়ি দেওয়া আর সচেতনতার অভাবে নিবন্ধনে আগ্রহী নন।
নতুন ‘এমবার্থ’ এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর হবে এমনটাই আশা করছেন বিশ্লেষকরা।