"গ্রাহক অভিজ্ঞতার জন্য প্রয়োজনীয় নয়", ওয়েবপেইজগুলোতে থাকা এমন ফ্ল্যাশচালিত অংশগুলো মজিলা বন্ধ করে দেবে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর ফলে ওয়েবপেইজগুলো আগের চেয়ে আরও দ্রুত লোড হবে এবং কম ক্র্যাশ করবে বলে জানিয়েছে ফায়ারফক্স ব্রাউজারের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৭ সাল থেকে ওয়েবপেইজের যেখানেই থাকুক না কেন, ফ্ল্যাশ চালু করতে হলে ব্যবহারকারীদের অবশ্যই ক্লিক করতে হবে, এমন ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এক বিবৃতিতে ফায়ারফক্স ডেভেলাপার বেঞ্জামিন স্মেডবার্গ জানান, এর প্রথম পদক্ষেপে ওয়েবপেইজের ফ্ল্যাশভিত্তিক যে অংশগুলো ব্যবহারকারীরা দেখতে পান না সেগুলো বন্ধ করে দেব। এর মধ্যে বিজ্ঞাপনে সহায়তা করতে ব্যবহৃত যেসব টুল ব্যবহারকারীরা কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করে তা শনাক্ত করে, সেগুলোও অন্তর্ভূক্ত।
এসব লুকানো অংশের অনেকগুলোই এখন ওয়েব ল্যাঙ্গুয়েজ এইচটিএমএল ব্যবহার করে করা যাবে বলে জানান স্মেডবার্গ। বিজ্ঞাপন দেখা হচ্ছে কিনা তা দেখতে বিজ্ঞাপনদাতারা যেসব ফ্ল্যাশ ফাইল ব্যবহার করেন, সেগুলোও ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এসব লুকানো এবং বিজ্ঞাপন সম্পর্কিত ফাইল বন্ধ করে দিলে ক্র্যাশ হওয়া আর পেইজ 'হ্যাং' হওয়ার ঘটনা ১০ শতাংশ কমে যাবে বলে মত দেন তিনি।
মজিলার সংগ্রহ করা পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গুগল আর ফেইসবুক ভিডিও-এর জন্য যখন ফ্ল্যাশ ব্যবহার বন্ধ করে দিয়ে এইচটিএমএলভিত্তিক কোড নিয়ে আসে, তখন তাদের ওয়েবপেইজ ক্র্যাশ হওয়ার সংখ্যা অনেকাংশে কমে যায়।
এই পদক্ষেপের ফলে ফায়ারফক্স ব্রাউজার আগের চেয়ে আরও নিরাপদ আর বহনযোগ্য ডিভাইসগুলো ব্যাটারির জন্য লাভজনক হবে বলে যোগ করেন তিনি।
এর আগে অ্যাপল ফ্ল্যাশ বন্ধে এই সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গুগল ও মাইক্রোসফটও একই পথ অনুসরণ করে।