‘দীর্ঘ ও জটিল এক সংগ্রামের’ পর এই রায়ে তারা আনন্দিত। “এই রায় হয়তো অন্যান্য ছোট কোম্পানির নিজস্ব ট্রেডমার্ক অধিকার রক্ষার বেলায় সহায়ক হবে।”
Published : 05 Apr 2023, 07:02 PM
যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল ট্রেডমার্কের জন্য ‘অ্যাপল মিউজিক’-এর একটি অংশ নিবন্ধনে ব্যর্থ হয়েছে অ্যাপল। এই টেক জায়ান্টের আবেদন চ্যালেঞ্জ জানানো এক জ্যাজ সঙ্গীতশিল্পীর পক্ষে রায় দিয়েছে দেশটির এক আপিল আদালত।
অ্যাপলের যুক্তি ছিল, ট্রাম্পেট বাদক চার্লি বার্টিনি’র ‘অ্যাপল জ্যাজ’ নামটির ওপর অ্যাপলেরই দাবি বেশি। কারণ এর মালিকানা কোম্পানির পূর্ববর্তী ‘বিটলস’ মিউজিক লেবেলের ওপর ভিত্তি করে এসেছে। সে দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ‘ইউএস কোর্ট অফ আপিলস ফর দ্য ফেডারেল সার্কিট’।
অ্যাপল সুরক্ষিত করতে চেয়েছে এমন বেশ কিছু ট্রেডমার্কের একটি হলো অ্যাপল জ্যাজ। আর অ্যাপলের ওই যুক্তি নাকচ করে আদালত বার্টিনিকে নিজস্ব লাইভ পারফরমেন্সে এই ট্রেডমার্ক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
এই মামলায় বার্টিনি’র অ্যাটর্নির দায়িত্ব পালন করেন তার ভাই জেমস বার্টিনি। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ও জটিল এক সংগ্রামের’ পর এই রায়ে তারা আনন্দিত।
“এই সিদ্ধান্ত হয়তো অন্যান্য ছোট কোম্পানির নিজস্ব ট্রেডমার্ক অধিকার রক্ষার বেলায় সহায়ক হবে।” --বলেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে রয়টার্স অ্যাপলের মন্তব্য জানতে চাইলে কোম্পানির মুখপাত্ররা কোনো সাড়া দেননি।
অ্যাপল নিজেদের স্ট্রিমিং পরিষেবা চালু করে ২০১৫ সালে। আর একই বছর ‘অ্যাপল মিউজিক’-এর ফেডারেল ট্রেডমার্কের আবেদন করে কোম্পানিটি, যা কোম্পানির সঙ্গীত ও বিনোদন পরিষেবার বিভিন্ন বিভাগকে তুলে ধরে। তবে, এই আবেদনের বিরোধিতা করেন বার্টিনি। তার যুক্তি, এই নাম ব্যবহার করলে সেটি তার নিজস্ব ‘অ্যাপল জ্যাজ’ ব্র্যান্ডিংয়ে সঙ্গে বিভ্রান্তি তৈরি করবে, যা তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে কনসার্টের বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহার করে আসছিলেন।
দুই পক্ষই অবশ্য এই বিষয়ে একমত যে অ্যাপলের চিহ্ন গ্রাহকদেরকে বিভ্রান্তির মুখে ফেলতে পারে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেডমার্ক অফিস ট্রাইব্যুনাল ২০২১ সালে অ্যাপলের পক্ষে রায় দেয়। তারা অনুসন্ধান চালিয়ে খুঁজে পায়, ২০০৭ সালে অ্যাপলের কেনা ১৯৬৮ সালের ‘অ্যাপল’ ট্রেডমার্কের ওপর ভিত্তি করে এই নামের অধিকার আগে থেকেই তাদের কাছে ছিল।
তবে, গেল মঙ্গলবার ফেডারেল সার্কিট প্যানেল সর্বসম্মতভাবে বার্টিনির বিরোধিতা নাকচের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেয়। তারা বলেন, অ্যাপল নিজেদের ট্রেডমার্কে কোনো শিল্পীর লাইভ পারফর্মেন্সের ট্রেডমার্ক অধিকার আটকে দিতে পারে না কারণ এটি পুরোপুরি ভিন্ন শ্রেণির পণ্য।
“কোনো পণ্য বা সেবার জন্য চিহ্ন আটকে দেওয়া ট্রেডমার্ক আবেদন, প্রতিটি বস্তু বা পরিষেবায় সেটি ব্যবহারের অগ্রাধিকার দেয় না।” --বলেছে আদালত।