বর্তমানে ট্রাম্প মুদ্রার মোট বাজার মূল্য প্রায় আটশো ৭০ কোটি ডলার ও মেলানিয়া মুদ্রার বাজারমূল্য প্রায় একশ ৩০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
Published : 20 Jan 2025, 02:19 PM
এবার নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি আনলেন মেলানিয়া ট্রাম্প। স্বামীর মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেকের প্রাক্কালে এই ক্রিপ্টোমুদ্রা চালু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই ফার্স্ট লেডি।
ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘ট্রাম্প’ নামের ক্রিপ্টোমুদ্রা চালুর একদিন পরই মেলানিয়ার এই ক্রিপ্টোমুদ্রা চালুর ঘোষণা এলো। দুটি মুদ্রার দাম বাড়লেও লেনদেনে অস্থিরতা দেখা গেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
“অফিসিয়াল মেলানিয়া মিম এখানে! আপনি চাইলে এখন মেলানিয়া মুদ্রা কিনতে পারেন,” রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর এক পোস্টে এভাবেই নিজের ক্রিপ্টোমুদ্রা চালুর পর উল্লাস প্রকাশ করেছেন মেলানিয়া ট্রাম্প।
‘অফিসিয়াল মেলানিয়া মিম’-এর ওয়েবসাইটটি বলেছে, সোলানা ব্লকচেইনে তৈরি ও ট্র্যাক করা একটি ক্রিপ্টো সম্পদ এই মেলানিয়া মুদ্রা।
এদিকে, ট্রাম্প ও মেলানিয়া উভয় কয়েনের ওয়েবসাইট দাবি করেছে, এসব ক্রিপ্টোমুদ্রা ‘বিনিয়োগ বা সম্পদ সুরক্ষার উপায় হওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি নয়’।
‘কয়েনমার্কেটক্যাপ’-এর ওয়েবসাইট অনুসারে, বর্তমানে ট্রাম্প মুদ্রার মোট বাজার মূল্য প্রায় আটশো ৭০ কোটি ডলার ও মেলানিয়া মুদ্রার বাজারমূল্য প্রায় একশ ৩০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে ক্রিপ্টোমুদ্রাকে ‘কেলেঙ্কারি’ হিসেবে বর্ণনা করলেও ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময় ডিজিটাল সম্পদকে অনুদান হিসাবে গ্রহণ করা প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়ে ওঠেন ট্রাম্প।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, কৌশলগত বিটকয়েন মজুদ তৈরির পাশাপাশি আর্থিক নিয়ন্ত্রকদের নিয়োগ করবেন তিনি, যা ডিজিটাল সম্পদের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি করবে।
গত বছর ন্যাশভিলের এক বিটকয়েন সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, “আমি ওয়াশিংটনে ফিরে আসার পরে আমেরিকা হবে বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী।”
ক্রিপ্টো ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম ‘কয়েনবেইস’ অনুসারে, ট্রাম্পের বিজয়ের পর বিটকয়েনের দাম বর্তমানে এক লাখ ৪০ হাজার ডলারে পৌঁছেছে।
বর্তমানে ডোজকয়েনের মতো অন্যান্য ক্রিপ্টোমুদ্রার দামও অনেক বেড়েছে, যার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সমর্থক ইলন মাস্ক।
অন্যদিকে, ক্রিপ্টোমুদ্রার জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রসাশনের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো। কারণ, বিভিন্ন ক্রিপ্টো কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে ডিজিটাল মুদ্রার বিনিময়কে দমন করেছেন তারা।