সাউন্ড লাইব্রেরি সমৃদ্ধ করতে নতুন মিউজিক লেবেল যোগ করছে স্ন্যাপ

ছবি: স্ন্যাপ

নিজস্ব সাউন্ড লাইব্রেরির বিস্তৃতি বাড়ানোর লক্ষ্যে একাধিক মিউজিক লেবেলের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সামাজিক মাধ্যম স্ন্যাপ। এই লাইব্রেরির মাধ্যমে বিভিন্ন গানের ক্লিপ নিজের ‘স্ন্যাপ’ বা ‘স্টোরি’তে ব্যবহারের সুবিধা পান ব্যবহারকারী।

কোম্পানি বলেছে, চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী লেবেলগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ‘ইউনাইটেডমাস্টার্স’, নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক ‘বুমা/স্টেমরা’ ও ‘সুইসা ডিজিটাল লাইসেন্সিং এজি’।

এর পাশাপাশি, বেশ কিছু আইপি কোম্পানিও চুক্তিতে অংশ নেয়, যার মধ্যে আছে সুইজারল্যান্ডের ‘সুইসা’, লাতভিয়ার ‘একেকেএ/এলএএ’, আলবেনিয়ার ‘আলবাউতর’, আর্মেনিয়ার ‘আর্মাউথর’, গ্রিসের ‘অটোডিয়া’, পাকিস্তানের ‘কম্প’, এস্তোনিয়ার ‘ইয়াউ’, জর্জিয়ার ‘জিসিএ’, লিথুয়ানিয়ার ‘লাতগা’, স্লোভাকিয়ার ‘সোজা’, ব্রাজিলের ‘আব্রামাস ডিজিটাল’, ইতালির ‘সাউন্ডরিফ’সহ একাধিক সরাসরি লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রকাশকরা।

স্ন্যাপ বলেছে, ইউনাইটেডমাস্টার্স নামের মিউজিক লেবেলের সঙ্গে চুক্তি করা একদল ‘বাছাই করা’ গায়ক ও গীতিকারের কাজও সাউন্ড লাইব্রেরিতে পাওয়া যাবে। আর স্থানীয় শিল্পীদের গান যোগ হবে বুমা/স্টেমরা ও সুইসা ডিজিটালের লাইব্রেরি থেকে।

“স্ন্যাপচ্যাট সাউন্ডস’ নামের অভিজ্ঞতার বিস্তৃতি বাড়ানোর বিষয়ে আমরা আনন্দিত। আর আমরা নতুন টুল তৈরি ও বৈশ্বিকভাবে সঙ্গীত শিল্পের সম্পর্ক উন্নয়নেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।” --এক বিবৃতিতে বলেন স্ন্যাপের ‘মিউজিক পার্টনারশিপ’ বিভাগের বৈশ্বিক প্রধান টেড সাহ।

“তুলনামূলক বিস্তৃত সঙ্গীত বাছাইয়ের সুযোগ দিয়ে আমরা বিভিন্ন সার্চ সক্রিয় করার পাশাপাশি গোটা বিশ্বে থাকা স্ন্যাপচ্যাটারদের পছন্দের সঙ্গীত সৃজনশীল উপায়ে প্রকাশের উপায় সহজ করতে চাই।”

কোম্পানি বলেছে, ইউনাইটেড মাস্টার্সের সঙ্গে কাজ করা উদীয়মান শিল্পীরা ‘সাউন্ড ক্রিয়েটর ফান্ড’-এর মাধ্যমে বিভিন্ন অনুদানের জন্য বিবেচিত হবেন। গত বছর মিউজিক সেবা ডিস্ট্রোকিটের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রকল্প চালু করে স্ন্যাপ, যেখানে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ অনুদান পাওয়া যায় এক লাখ ডলার পর্যন্ত।

আর এই অনুদান দর্শকদের সঙ্গে ‘প্রাসঙ্গিকতা’ স্থাপনের বেলাতেও শিল্পীদের সৃজনশীল সহায়তা দিয়ে থাকে। আর প্ল্যাটফর্মের ভিডিও ক্লিপে যুক্ত করার উদ্দেশ্যে স্ন্যাপের সাউন্ড প্লেলিস্টে বেশ কিছু জনপ্রিয় লাইসেন্সকৃত গানও রয়েছে। আর এই লেবেল চুক্তির সহায়তায় নতুন শিল্পীদের অন্তর্ভুক্তিতে অনুদানের জন্য নির্ধারিত ওই ২০টি জায়গা পেতেও তুলনামূলক বেশি প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চ।

সঙ্গীত অনুসন্ধানে টিকটক মূল জায়গা হয়ে ওঠার জবাব হিসেবে ২০২০ সালে নিজেদের প্রথম ‘সাউন্ডস’ পণ্যের আত্মপ্রকাশ ঘটায় স্ন্যাপ। পরবর্তী বছরগুলোয় ওয়ার্নার মিউজিক গ্রুপ, মার্লিন (স্বতন্ত্র লেবেল সদস্য’সহ), এনএমপিএ, ইউনিভার্সাল মিউজিক পাবলিশিং ও ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপ’সহ একাধিক লেবেলের সঙ্গে চুক্তি করেছে কোম্পানিটি।

এই বছরের শুরুতে ‘ক্রিয়েটর মিউজিক’ নামে এক নতুন লাইসেন্সিং টুল চালু করে ইউটিউব। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ‘ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম’-এর সকল অংশগ্রহণকারীর কাছে এটি পাওয়া যাচ্ছে।