ইউটিউবের ‘বাইরের লিঙ্ক’ সংশ্লিষ্ট নিয়মটি লঙ্ঘন করেছে পর্নহাবের অ্যাকাউন্ট, যার আওতায় পর্নোগ্রাফির মতো বিভিন্ন কনটেন্টের লিঙ্ক শেয়ার করা নিষেধ।
Published : 18 Dec 2022, 05:14 PM
প্ল্যাটফর্মের ‘একাধিক কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন’ করায় নিষিদ্ধ হয়েছে বিনাখরচের জনপ্রিয় পর্ন সাইট পর্নহাবের ইউটিউব চ্যানেল।
গুগল বলছে, ইউটিউবের ‘বাইরের লিঙ্ক’ সংশ্লিষ্ট নিয়মটি লঙ্ঘন করেছে পর্নহাবের অ্যাকাউন্ট, যার আওতায় পর্নোগ্রাফির মতো বিভিন্ন কনটেন্টের লিঙ্ক শেয়ার করা নিষেধ। বিষয়টি প্রথম উঠে আসে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভ্যারাইটি’র প্রতিবেদনে।
“পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে, আমাদের একাধিক কমিউনিটি গাইডলাইন ভঙ্গের কারণে আমরা ‘পর্নহাব অফিসিয়াল’ নামের চ্যানেলটি মুছে দিয়েছি।” --প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জকে বলেন ইউটিউব মুখপাত্র জ্যাক ম্যালন।
“আমরা সবার জন্যই একইভাবে নীতিমালার প্রয়োগ করি। আর যেসব চ্যানেল ক্রমাগত এটি লঙ্ঘন করে বা এই ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে, সেগুলো মুছে ফেলা হয়।”
নিষেধাজ্ঞার আগে পর্নহাবের ইউটিউব চ্যানেলে প্রায় নয় লাখ গ্রাহক ছিল। এতে ‘সেইফ-ফর-ওয়ার্ক’ ভিত্তিক কনটেন্ট পোস্টে করে নিজস্ব সাইট ও পর্নশিল্পীদের প্রচারণা চালাতো কোম্পানিটি।
ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউটিউবে পোস্ট করা ভিডিও’র বেলায় বয়সের সীমাবদ্ধতা প্রয়োগ করার কথা বলেছে পর্নহাব। এর মানে হচ্ছে, ভিডিও দেখতে দর্শকের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
পাশাপাশি, ‘অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট’-এর লিঙ্ক শেয়ারের অভিযোগও ‘জোরালোভাবে নাকচ’ করেছে তারা।
“ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি আস্থা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছে পর্নহাব। আর এটি যেন ইউটিউবের কোনো কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন না করে, সেটি নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেই আমরা।” --ভার্জকে বলেন সাইটটির এক মুখপাত্র।
“দুর্ভাগ্যবশত, এটি অ্যাডাল্ট পর্ন ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে বৈষম্যের সর্বশেষ উদাহরণ। এই প্রবণতার ফলে সম্মতিমূলক অ্যাডাল্ট কনটেন্টকে সোশাল মিডিয়াগুলো শোষণের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলে।”
ইনস্টাগ্রামের পর্নহাব অ্যাকাউন্টে আজীবন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বেশ কয়েকমাস পর ইউটিউবে চ্যানেল মুছে দেওয়ার এই খবর এলো । নগ্নতা, অ্যাডাল্ট কনটেন্ট ও যৌন আবেদন সংশ্লিষ্ট নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে অ্যাকাউন্টটি মুছে দিয়েছিল মেটা মালিকানাধীন ফটো শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটি।
ইউটিউবের মতোই, ইনস্টাগ্রামের দবি ছিল, ব্যবহারকারীদের প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে অ্যাডাল্ট কনটেন্ট দেখতে উৎসাহ যোগায় পর্নহাব অ্যাকাউন্ট।
এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় পর্নহাব একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেছে, যেখানে নিজেদের ‘পুরোপুরি পিজি (প্যারেন্টাল গাইডেন্স)’ থাকা অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার অভিযোগ জানিয়ে ইনস্টাগ্রামের সমালোচনা রয়েছে। অন্যান্য নির্মাতারা প্ল্যাটফর্মে কোনো বাধা ছাড়াই ‘নগ্নতা ও যৌনতা’ প্রকাশ্যে পোস্ট করে যাচ্ছেন বলেও প্রশ্ন তুলেছে পর্ন সাইটটি।