২০০০ সালের পর থেকে ক্রমশ এভিয়েশন শিল্পে মন দেয় বেইকার টেকনোলজিস। তখন থেকেই সামরিক ড্রোন হয়ে ওঠে এদের মনোযোগের কেন্দ্র।
Published : 07 Aug 2023, 07:00 PM
স্থানীয় পর্যায়ে ড্রোন উৎপাদন করতে একটি কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সৌদি আরব এবং তুর্কী কোম্পানি বেইকার টেক।
রাজতন্ত্রটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সৌদি অ্যারাবিয়ান মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিস (সামি) একটি এক্স পোস্টে বলেছে চুক্তিটি “জাতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পে সহায়ক হিসাবে সামির ভূমিকা বাড়াবে এবং দেশটির প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করবে”।
গত জুলাইয়ে ড্রোন কেনার জন্য সৌদি আরব তুরস্কের বেইকার সঙ্গে চুক্তি করে যা তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
২০২১ সালে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ঠিকঠাক করার উদ্দ্যোগ নেয় তুরস্ক। তারপরেই মধ্যপ্রাচ্যের বিনিয়োগ এবং তহবিলে চাঙ্গা হয়ে উঠে তুরস্কের অর্থনীতি এবং মুদ্রা রিজার্ভ।
এর আগে ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুল্যেটে দেশটির সাংবাদিক জামাল খাশুগজির হত্যা, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় গণতন্ত্রকামী আন্দোলনে সমর্থন করায় বেশ কয়েক বছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশদুটোর সঙ্গে টানাপোড়েন চলে আঙ্কারার।
১৯৮৪ সালে তুরস্কে প্রতিষ্ঠিত বেইকার টেকনোলজিস শুরুতে প্রকৌশলবিষয়ক সমাধান দিলেও ২০০০ সালের পর থেকে ক্রমশ এভিয়েশন শিল্পে মন দেয়। এদের প্রথম ড্রোন ছিল বেইরাখটার মিনি ইউএভি। এর পর থেকেই সামরিক ড্রোন হয়ে ওঠে এদের মনোযোগের কেন্দ্র।
২০২০ সালের নাগোর্নো-কারাবাখ যুদ্ধে আজারবাইজান সেনাবাহিনী বেইকারের ড্রোন ব্যবহার করেছিল। এরপর থেকেই বেইকার যাদের কাছ থেকে পণ্য কেনে তাদের বয়কটের আন্তর্জাতিক চাপ ওঠে।