“আমাদের শুধু অতীতের সমস্যা সময়মতো স্বীকার ও সেটি সঠিক করলেই চলবে না, বরং ভবিষ্যতের জন্যেও সংস্কার করতে হবে, ” বলেন তিনি।
Published : 10 Apr 2024, 03:21 PM
কর্মীদের উদ্দেশ্যে লেখা বিরল এক দীর্ঘ মেমোতে আলিবাবার পুনর্গঠনকে সমর্থন জানিয়েছেন ইন্টারনেট জায়ান্ট কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা।
এর থেকে ইঙ্গিত মেলে, গত দুই বছর পর্দার আড়ালে থাকার পর এখন সম্ভবত কোম্পানিতে আগের চেয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে চান তিনি।
ওই পোস্টের পর হংকংয়ে আলিবাবার শেয়ারমূল্য বেড়েছে পাঁচ শতাংশ।
পোস্টটি প্রকাশ পেয়েছে আলিবাবার নিজস্ব ফোরামে, যার এক বছর আগে কোম্পানিকে ছয় ভাগে বিভক্ত করে ফেলার ঘোষণা দিয়েছিল আলিবাবা। আর কোম্পানির ২৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পুনর্গঠনের ঘটনা ছিল সেটি।
এর পর থেকেই টালমাটাল সময় কাটাচ্ছে কোম্পানিটি, যার মধ্যে রয়েছে নতুন সিইও নিয়োগ, নিজস্ব ক্লাউড ও লজিস্টিক ইউনিটের তালিকা ঘোষণা দেওয়ার পর তা নাকচ করে দেওয়ার মতো ঘটনাও।
একই সময়, ‘পিডিডি হোল্ডিংস’ এবং বাইটড্যান্স মালিকানাধীন ‘ডোউইন’ (টিকটকের চীনা সংস্করণ)’-এর মতো স্বল্পমূল্যের প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ই-কমার্স খাতে নিজস্ব অবস্থান হারিয়েছে কোম্পানিটি।
প্রায় এক পৃষ্ঠা দীর্ঘ ওই পোস্টে আলিবাবার বর্তমান সিইও এডি উয়ু ও চেয়ারম্যান জো সাইয়ের নেতৃত্বের প্রশংসা করে মা বলেন, কোম্পানিকে ছয়টি বিভাগে ভাগ করায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি আরও সহজ হয়েছে। ফলে, আগের চেয়ে বেশি সচল ও গ্রাহক-কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে আলিবাবা।
তিনি আরও বলেন, অতীতে আলিবাবা অনেক ভুল করেছে। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন এক সময় শিক্ষকতা পেশায় থাকা মা।
“আমাদের শুধু অতীতের সমস্যা সময়মতো স্বীকার ও সেটি সঠিক করলেই চলবে না, বরং ভবিষ্যতের জন্যেও সংস্কার করতে হবে, ” বলেন তিনি।
আলিবাবার প্রাইভেট নেটওয়ার্কে গত পাঁচ বছরে মা’র করা দীর্ঘতম পোস্ট ছিল এটি।
২০২০ সালের অক্টোবরে দেওয়া এক বক্তব্যে চীনা নিয়ন্ত্রকদের জনসমক্ষে সমালোচনা করেছিলেন চীনের সবচেয়ে সুপরিচিত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা মা। এর কারণ ছিল তার প্রতিষ্ঠিত ফিনটেক কোম্পানি ‘অ্যান্ট গ্রুপের’ ওপর তদন্ত। পরবর্তীতে চীনা প্রযুক্তি খাতে ক্র্যাকডাউন চালাতেও দেখা গেছে নিয়ন্ত্রকদের, যার ফলে চীন আলিবাবাকে জরিমানা করেছিল ২৮০ কোটি ডলার। এমনকি মা নিজেও জনসমক্ষে আসা বন্ধ করে দেন এর পর থেকে।
নিজের সিংহভাগ সময়ই এখন চীনের বাইরে কাটান মা। বিশেষ করে জাপানে, যেখানে ‘ইউনিভার্সিটি অফ টোকিও’ পরিচালিত ‘টোকিও কলেজের’ খণ্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।