হামলাকারীদের বেশিরভাগেরই অবস্থান রাশিয়ায় বা সাবেক সোভিয়েতে। এসব ফাইল ডিক্রিপ্ট ও ডেটা ফেরত দেওয়ার জন্য সাধারণত বিটকয়েনে মুক্তিপণ দাবি করে অপরাধীরা।
Published : 08 Feb 2025, 02:19 PM
ভুক্তভোগীরা সাইবার অপরাধীদের অর্থ দিতে অস্বীকার করায় ও আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থা এদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানোয় গত বছর র্যানসমওয়্যারের মাধ্যমে মুক্তিপণ প্রদানের পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি কমে ৮১ কোটি ৩০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে উঠে এসেছে এক পরিসংখ্যানে।
২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের এনএইচএস ট্রাস্ট ও ডোনাট উৎপাদক মার্কিন কোম্পানি ‘ক্রিসপি ক্রিম’সহ বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল মামলার পর এ ধরনের সাইবার হামলার পরিমাণ কমে এসেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।
এসব হামলায় সাধারণত কম্পিউটার বা ডেটাতে ব্যবহারকারীদের প্রবেশ আটকে দেয় এবং তা উদ্ধারের জন্য অর্থ দাবি করে হ্যাকাররা।
বুধবার র্যানসমওয়্যার পেমেন্টের তথ্য প্রকাশ করেছে গবেষণা কোম্পানি ‘চেইনালিসিস’।
কোম্পানিটি বলেছে, গত বছর র্যানসমওয়্যারের মাধ্যমে অর্থ দেওয়ার পরিমাণ আগের বছরের রেকর্ড একশ ২৫ কোটি ডলার থেকে কমে এসেছে। অর্থ দেওয়ার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি কমেছে বছরের দ্বিতীয়ার্ধে, যা সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা ও অর্থ দিতে রাজি না হওয়ারই প্রতিফলন।
২০২৪ সালের র্যানসমওয়্যার পেমেন্টের মোট আয়ও ২০২০ ও ২০১৯ সালে রেকর্ড করা ৯৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার ও ১১০ কোটি ডলারের চেয়ে কম। র্যানসমওয়্যার আক্রমণে মূলত টার্গেটেড ব্যবহারকরীর আইটি সিস্টেমে প্রবেশ করে, ডেটা চুরি ও এনক্রিপ্ট করে বিভিন্ন ফাইল লক করে দেয় সাইবার অপরাধীরা।
গার্ডিয়ান লিখেছে, এসব হামলাকারীদের বেশিরভাগেরই অবস্থান রাশিয়ায় বা সাবেক সোভিয়েতে। এসব ফাইল ডিক্রিপ্ট ও ডেটা ফেরত দেওয়ার জন্য সাধারণত বিটকয়েনে মুক্তিপণ দাবি করে অপরাধীরা।
‘চেইনালিসিস’-এর ‘সাইবার থ্রেট ইন্টেলিজেন্স-এর প্রধান জ্যাকুলিন বার্নস কোভেন বলেছেন, এ নতুন পরিসংখ্যানে ইঙ্গিত মিলেছে “র্যানসমওয়্যারের মাধ্যমে সর্বনাশ” এড়ানো গেছে।
তিনি বলেছেন, “বছরের পর বছর ধরে সাইবার নিরাপত্তার পটভূমি তথাকথিত র্যানসমওয়্যার সর্বনাশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল বলে মনে হচ্ছে। তাই ২০২০ ও ২০২১ সালের চেয়ে র্যানসমওয়্যার পেপেন্টের এই পতন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পদক্ষেপের কার্যকারিতা, উন্নত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সাইবার হামলাকারীদের দাবিতে ভুক্তভোগীদের ক্রমাগত অস্বীকৃতিরই ইঙ্গিত দেয়।”
তবে কোভেন এও বলেছেন, ভুক্তভোগীদের অর্থ দেওয়ার নিম্নমুখী প্রবণতার বিষয়টি ‘ভঙ্গুর’ ও র্যানসমওয়্যার আক্রমণে এমন ঘটনা এখনও ‘অনেক’ রয়ে গেছে।