আশার কথা হলো ২০২০ সালের পরের বছরগুলোর তুলনায় এই প্রথম বেহাত হওয়া ক্রিপ্টো সম্পদের পরিমাণ কমেছে বলেছে সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানিগুলো।
Published : 27 Dec 2023, 05:58 PM
২০২৩ সালের বিদায়ের ক্ষণ উপস্থিত, বরাবরের মতো এ বছরও হ্যাকাররা হাতিয়ে নিয়েছে শত শত কোটি ডলারের ক্রিপ্টো সম্পদ।
আশার কথা হলো ২০২০ সালের পর থেকে এই প্রথম বেহাত হওয়া ক্রিপ্টো সম্পদের পরিমাণ কমেছে বলেছে সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানিগুলো।
২০২৩ সালে কয়েক ডজন সাইবার হামলার মাধ্যমে প্রায় দুইশ কোটি ডলার মূল্যের ক্রিপ্টো চুরি করেছে হ্যাকাররা, বলেছে আরইকেটি ডেটাবেইজ পরিচালক ওয়েবথ্রি নিরাপত্তা কোম্পানি ডিই ডটএফআই।
বিশ্বের সব বড় ধরনের ক্রিপ্টো চুরিকে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনুযায়ী তালিকাবদ্ধ করেছে সাইটটি। ২০২২ সালে রনিন নেটওয়ার্কে আক্রমণের ফলে বেহাত হওয়া ৬০ কোটি ডলার মুল্যের ক্রিপ্টো সম্পদকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টো চুরি বলে লিখেছে সাইটটি। তার তুলনায় মিক্সিন নেটওয়ার্কে আক্রমণের পর চুরি হওয়া ২০ কোটি ডলার মুল্যের ক্রিপ্টো ছিল ২০২৩ সালের মধ্যে সর্বোচ্চ ক্রিপ্টো চুরি।
“বছরের প্রথমার্ধে বাজারের মন্দার স্বত্ত্বেও, ক্রিপ্টো নিরাপত্তায় চলমান ঝুঁকির পাশাপাশি বেশ কিছু সাফল্য নিয়ে ২০২৩ সালটি ছিলো ক্রিপ্টোর জন্য একটি মিশ্র বছর।” – ডিই ডটএফআইয়ের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে লিখেছে টেকক্রাঞ্চ।
ব্লকচেইন তদন্ত কোম্পানি টিআরএম ল্যাবস ডিসেম্বরের শুরুতে ২০২৩ সালে হ্যাকারদের চুরি করা ক্রিপ্টোর একটি আনুমানিক হিসাব প্রকাশ করেছে। কোম্পানটির হিসাব অনুযায়ী ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত মোট চুরি যাওয়া ক্রিপ্টোর পরিমাণ একশ ৭০ কোটি ডলার।
এ বছরের শীর্ষ ক্রিপ্টো চুরির ভুক্তভোগীর তালিকায় রয়েছে অয়লার ফাইন্যান্স, এবং কোম্পানিটি হারিয়েছে ২০ কোটি ডলার মুল্যের ক্রিপ্টো সম্পদ। এ ছাড়াও ‘মাল্টিচেইন’ নামের কোম্পানি হারিয়েছে ১২ কোটি ৬০ লাখ ডলার, বংডাও হরিয়েছে ১২ কোটি ডলার, পলোনেইক্স ১১ কোটি ৪০ লাখ ডলার, অ্যাটমিক ওয়ালেট ১০ কোটি ডলার, এবং এ ছাড়া আরও রয়েছে এমন কয়েকশ কোম্পানি।
ব্লকচেইন পর্যবেক্ষক কোম্পানি চেইনালিসিস এক প্রতিবেদনে বলেছে, গত বছর হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ তিনশ ৮০ কোটি ডলারের ক্রিপ্টো হাতিয়ে নিয়েছে। যার মধ্যে একশ ৭০ কোটি সরিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সরকারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হ্যাকারদল ল্যাজারুস, যার বেশিরভাগ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জন্য তহবিল জোগানোর জন্য করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে টেকক্রাঞ্চ।
“এটা বললে বাহুল্য হবে না যে, ক্রিপ্টো মুদ্রার হ্যাকিংয়ের পরিমাণ একটা গোটা দেশের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য অংশ” – ২০২২ সালের প্রতিবেদনে লিখেছিলো চেইনালিসিস।
তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০২১ সালে হ্যাকাররা মোট তিনশ ৩০ কোটি ডলার চুরি করেছে, বলেছে কোম্পানিটি।