বিভিন্ন ক্ষতিকারক কনটেন্টকে অপরাধের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন টাইটানিক খ্যাত ব্রিটিশ অভিনেত্রী কেইট উইন্সলেট। যুক্তরাজ্যে আয়োজিত ‘বাফটা টিভি অ্যাওয়ার্ডস’-এ সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার গ্রহণের সময় দেশটির রাজনীতিবিদদের এই আহ্বান জানান তিনি।
ব্রিটিশ ড্রামা সিরিজ ‘আই অ্যাম রুথ’-এ নিজের মেয়ে মিয়া থ্রেপলটনের সঙ্গে অভিনয় করেন এই অস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী। আর এতে অনলাইন বিশ্ব থেকে আসা মানসিক স্বাস্থ্যের চাপ মোকাবেলা করা এক মা ও তার শিশুর সম্পর্ক উঠে এসেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
“আই অ্যাম রুথ তৈরি হয়েছে অভিভাবক ও তাদের সন্তানদের জন্য– এমন বিভিন্ন পরিবারের জন্য যারা মনে করেন তারা অনলাইন জগতের ক্ষতিকারক দিকের কাছে জিম্মি। আর এমন অভিভাবকদের জন্য, যাদের এখনও নিজ সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগের ইচ্ছা থাকলেও তারা সেটি করতে পারছেন না।” --রোববারের আয়োজনে বলেন উইন্সলেট।
“আর বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও এর ক্ষতিকারক দিকগুলোতে আসক্ত হয়ে পড়া তরুণ ব্যবহারকারীদের আমি বলতে চাই, এটি আপনার জীবন হতে পারে না। আর ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের ও যারা পরিবর্তন আনার ক্ষমতা রাখেন তাদের বলছি, দয়া করে ক্ষতিকারক কনটেন্টকে অপরাধের আওতায় আনুন।”
“দয়া করে ক্ষতিকারক কনটেন্ট মুছে ফেলুন, আমরা এটা চাই না।”
“আমরা নিজেদের সন্তানদের ফেরত চাই।”
“আমরা নিজেদের সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট আতঙ্ক নিয়ে ঘুম থেকে উঠতে চাই না। আর যেসব তরুণ ব্যবহারকারী শুনছেন ও অনুভব করেন, তারা এই অস্বাস্থ্যকর জগতে জিম্মি, তাদের বলবো, দয়া করে আপনারা সাহায্য চান।”
“আপনার সাহায্য প্রয়োজন, এটি স্বীকারে কোনো লজ্জা নেই।”
“আপনি চাইলেই সহায়তা পাবেন।”
যুক্তরাজ্যের ‘হাউজ অফ লর্ডস’ অনলাইন থেকে বিভিন্ন অবৈধ ও ক্ষতিকারক কনটেন্ট ঠেকানোর লক্ষ্যে অনলাইন সুরক্ষা আইন নিয়ে পর্যবেক্ষণ করার মধ্যেই উইন্সলেটের এই মন্তব্য এলো।
সিরিজের মূল চরিত্র রুথের চরিত্রে অভিনয় করেন উইন্সলেট। এখানে তাকে এক উদ্বিগ্ন মা হিসেবে দেখা যায়, যিনি নিজের কিশোরী মেয়ে থ্রেয়ার বিভিন্ন কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করেন। আর এতে অভিনয় করেন তার নিজের ২২ বছর বয়সী সন্তান থ্রেপলটন। দুই ঘণ্টা দীর্ঘ এই সিরিজে দেখানো হয়, উইন্সলেটের সন্তান সামাজিক মাধ্যমের চাপ থেকে নিজেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।
চলচ্চিত্র নির্মাতা ডমিনিক স্যাভেজ নির্মিত এই নারীকেন্দ্রিক ড্রামা সিরিজ ‘আই অ্যাম’ ট্রিলজির তৃতীয় কিস্তি। উইন্সলেটের পাশাপাশি এই সিরিজও আয়োজনের রাতে পুরস্কার জিতেছে।
এই সিরিজের প্রতিটি চলচ্চিত্রই বিশেষভাবে নারীদের প্রকৃত, চিন্তা উদ্দীপক ও ব্যক্তিগত মূহুর্তের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।